ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে ‘জাদুকর’ লিওনেল মেসির বাজিমাত। বয়স পঁয়ত্রিশ হলেও অবিশ্বাস্য ছন্দে খেলছিলেন। যে ছন্দটা তিনি ধরে রাখলেন ফাইনালেও। ফ্রান্সের বিপক্ষে স্নায়ুক্ষয়ী যুদ্ধে করলেন জোড়া গোল। কিলিয়ান এমবাপ্পে দারুণ হ্যাটট্রিকে ম্যাচ টাইব্রেকারে নিলেও শেষ হাসি আর্জেন্টিনার। যেখানে আবারও এমি মার্তিনেজের বীরত্ব দেখল বিশ্ব।
লুসাইল স্টেডিয়ামে রবিবার অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচটির অতিরিক্ত সময় শেষে ছিল ৩-৩ সমতা। এরপর টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হয় তুলে নেয় আর্জেন্টিনা। সুবাদে ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা মেসি শেষ করলেন শিরোপার ছোঁয়া দিয়ে। আর আর্জেন্টিনার হলো ৩৬ বছরের আক্ষেপের অবসান।
সবশেষ ১৯৮৬ সালে ডিয়েগো ম্যারাডোনার জাদুতে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এনিয়ে তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলল তারা।
ফ্রান্সের সামনেও শিরোপা ধরে রাখার সঙ্গে তৃতীয়বার সেরা হওয়ার হাতছানি ছিল। এমবাপ্পের বীরত্বেরও পরল না তারা। বিশ্বকাপটা মেসিরই হলো।
প্রথমার্ধে লিওনেল মেসি পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। পরে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দশ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দেন। ৯৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ম্যাচ নিয়ে যান অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে মেসি নিজের দ্বিতীয় গোলটি আদায় করে স্কোরলাইন ৩-২ করেন। দশ মিনিট পর এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে হ্যাটট্রিক পূরণ করলে স্কোরলাইন ৩-৩ হয়।
টাইব্রেকারে প্রথম শট থেকেই গোল পায় দুই দল। ফ্রান্সের হয়ে এমবাপ্পে ও আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি গোল করেন। তবে ফ্রান্সের কিংসলে কোমানের শট রুখে দেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক মার্তিনেজ। আর চুয়ামেনির শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। অনেক নাটকের পর ম্যাচের শেষটা যেন লেখা হয় এখানেই।
ম্যাচে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে গ্রুপ পর্বে গোল করার পর নকআউটেও সব ম্যাচেই গোল করেছেন। শিরোপাও তার।অন্যদিকে এমবাপ্পে ১৯৬৬ সালের পর বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেও হাসতে পারলেন না শেষ পর্যন্ত।