করোনায় আক্রান্ত বিশ্বের এ কঠিন সময়ে ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এখনই তো সময়। দেশব্যাপী চলমান এ স্থবিরতায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষগুলো হঠাৎ কেমন অসহায় হয়ে পড়েছে। কিছু মানুষের অবস্থা এমন যে, করোনার চেয়ে ক্ষুধার ভয় এদের বেশি। ক্ষুধার্ত অবস্থায় হাহাকার করা মানুষগুলো যেন না খেয়ে মারা যায় যায় অবস্থা।
এই মানুষের সংখ্যা যত, তার চেয়ে স্বচ্ছল মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এদেশের অনেক বিত্তবান হয়তো মনে করেন- এদেশে বুঝি গরিব মানুষ নেই। অনেকে মনে করেন- সভ্যতার উৎকর্ষের এ যুগে ক্ষুধার্ত মানুষ বুঝি আর নেই এদেশে। আরে ভাই, এখনো বাংলাদেশে এমন অনেক পরিবার আছে, যাদের ঘরে কূপি-বাতি নিভু নিভু করে। এখনো অনেক পরিবার আছে, যাদের ঘরের উপার্জনশীল ব্যাক্তিটি কাজে না গেলে ওইদিন ঘরের জন্য সামান্য চাল-ডাল কেনার সুযোগ মেলে না। ঘরের উনুনে আগুন জ্বলে না দু’বেলা। আপনি যদি চারপাশের দালান-কোঠা, প্রাসাদ দেখে, ব্যাঙের ছাতার মতো জেগে ওঠা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট আর ফাস্টফুডের দোকান দেখে, স্যুট-টাই পরা মানুষ দেখে সমাজকে মূল্যায়ন করেন এভাবে যে, সমাজে গরিব মানুষ নেই, দেশে কোন অভাবী, অসহায় লোক নেই, নেই কোন ছিন্নমূল ঘরহারা মানুষ, তাহলে তো ভুল করবেন।
অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। এরকম এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শাহজালাল আহমেদ (সম্রাট)
সধারণ সম্পাদক ,ল স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, তরুন শিক্ষানবীশ আইনজীবি ,ঢাকা জাজ কোর্ট।সাবেক কার্য নির্বাহী সদস্য ,ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ উত্তর ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ উত্তর শের ই বাংলা নগর থানা ।
সম্রাটের জন্ম কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার আওতাধীন পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড ঢেকিয়া গ্রামে। তিনি বর্তমানে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। করোনা কালীল সময়ে তিনি কিশোরগঞ্জে অসহায় মানুষকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করেছেন। ছোট ছেলে মেয়েদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন,”আসুন আমরা সবাই মিলে সমাজে পিছিয়ে পরা মানুষের পাশে দাঁড়াই। তাদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই।”
শাহজালাল আহমেদ (সম্রাট) বিভিন্ন সময়ে অসহায় মানুষদের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। মহামারি করোনায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করেছে।