কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃক বিতরণকৃত ঋণের কিস্তি গ্রাহকদের নিকট থেকে আদায় করে তা ব্যাংক তহবিলে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুদকের করা মামলায় সদর উপজেলার হরিনারায়নপুর গ্রামীন ব্যাংক শাখা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম এর ৬ বছরের কারাদন্ড ও ২০ লক্ষ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহষ্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো: আশরাফুল ইসলাম এর আদালত সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যাংক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন- আব্দুর রহিম জয়পুরহাট জেলার বুলুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো: কামরুল ইসলামের ছেলে মো: আব্দুর রহিম (৪৮) অফিস পরিচিতি নং ৪৫৮৩৮, শাখা ব্যবস্থাপক গ্রামীণ ব্যাংক হরিনারায়নপুর শাখা কুষ্টিয়া।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মো: আব্দুর রহিম (৪৮) অফিস পরিচিতি নং ৪৫৮৩৮, শাখা ব্যবস্থাপক গ্রামীণ ব্যাংক হরিনারায়নপুর শাখা ২০১১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১২সালের নভেম্বর সময়কালের মধ্যে অত্র ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋনগ্রহিতাদের কাছ থেকে সংগৃহীত কিস্তির টাকা ব্যাংক তহবিলে জমা না করে সংগৃহীত মোট প্রায় ১১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। এঘটনায় ক্ষুব্ধ কিস্তি প্রদানকারী গহীতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়ার তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপসহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম বাদি হয়ে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় থানায় অভিযুক্ত ওই শাখা/কেন্দ্র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তশেষে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক আব্দুল গাফফার অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং ৪ ধারায় অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়ার কৌসুলি এ্যাড. আল মুজাহিদ হোসেন জানান, গ্রামীন ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋনের গ্রহিতাদের কাছ তেকে সংগৃহীত কিস্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় বিজ্ঞ আদালত প্রায় ৩০জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে দুইটি ধারায় ৬বছর ও ৪বছর কারাদন্ডাদেশ এবং ২০লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১০ মাসের সাজার আদেশ দিয়েছেন।