দেশের চর ও দ্বীপাঞ্চলে লবণাক্ত সহিষ্ণু পাটের জাত আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের জেনেটিক রিসোর্সেস অ্যান্ড সিড বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট পাট বিজ্ঞানী ড. মাহমুদ আল হোসেন। দেশি পাট-১০ নামের এ পাট দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পাট চাষ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া তিনি লবণাক্ত দ্বীপ ও চরাঞ্চলে শীতকালীন অন্যান্য সবজির সঙ্গে পাট বীজ উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে পাট বীজের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
এর বাইরে তিনি পাট শাক-১, বিজেআরআই দেশি পাট-৮ এবং পাট গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অন্তত দশটি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। দেশের অন্যতম পাট বিজ্ঞানী ড. মাহমুদ আল হোসেন পাট খাতের এসব অবদানের জন্য সেরা গবেষক, বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক ক্যাটাগরিতে ‘জাতীয় পাট পুরস্কার-২০২৩’ অর্জন করেছেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গত ৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান পাট বিজ্ঞানী ড. মাহমুদ আল হোসেনের হাতে জাতীয় পুরস্কার তুলে দেন।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কৃতীসন্তান ড. মাহমুদ আল হোসেন কর্মক্ষেত্রে এরই মধ্যে বহুমুখী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি বিজেআরআই পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সচিব, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) সহ আরও নানা দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেন। প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে দক্ষ এই কর্মকর্তা ছাত্রজীবনে ১৯৯৪-৯৫ সালে পটুয়াখালী কৃষি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেন।
বর্তমানে পেশাগত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সদস্য, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও বাংলাদেশ জেনেটিক্স অ্যান্ড পেটেন্ট ব্রিডিং সোসাইটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া পাট নিয়ে তিনি একাধিক গবেষণায় ব্যস্ত রয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী ইশরাত জাহান এবং দুই সন্তান জেরিন তাসনিম ও রাইয়ান মাহমুদের জনক।