ইউক্রেনীয়দের জীবন বাঁচাতে সহায়তার জন্য ন্যাটো দেশগুলো থেকে আরও অস্ত্র সরবরাহ চেয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা।
ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের আগে কুলেবা বলেন, তার এজেন্ডা ‘সরল’ এবং ইউক্রেন আত্মবিশ্বাসী যে, রাশিয়াকে পরাজিত করার সর্বোত্তম উপায় হল আরও সামরিক সহায়তা।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে একটি শীর্ষ সম্মেলনে ন্যাটোর দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কুলেবা। সেখানে ইউক্রেনের পূর্বে ক্রমবর্ধমান রুশ সামরিক হামলার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে কীভাবে সর্বোত্তম অস্ত্র দেয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন, অস্ত্রের ‘টেকসই ও পর্যাপ্ত সরবরাহ’ ছাড়াই ইউক্রেনের বিজয় ‘বিশাল ত্যাগ’ দ্বারা অনুষঙ্গী হবে।
কুলেবা যোগ করেন, যত তাড়াতাড়ি আরও সরবরাহ আসবে, তত বেশি মানুষের জীবন, শহর-বন্দরগুলো ধ্বংস থেকে রক্ষা পাবে, বুচায় যে ধ্বংসযজ্ঞ বিশ্ব দেখেছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা বলেন, ‘আমি সব মিত্রদের প্রতি তাদের দ্বিধা, অনিচ্ছাকে একপাশে রেখে ইউক্রেনকে তার প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করার জন্য আহ্বান জানাই। কারণ, এটি অদ্ভুত শোনালেও আজ অস্ত্র শান্তির উদ্দেশ্যে কাজ করে।’
এদিকে প্রথম ন্যাটো সদস্য দেশ হিসেবে চেক প্রজাতন্ত্র ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠাচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, একটি ট্রেনে করে ট্যাংকগুলো ইউক্রেনের দিকে এগোচ্ছে।
মঙ্গলবার চেক প্রজাতন্ত্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানা সেরনোচোয়া বলেন, চেক প্রজাতন্ত্র ইউক্রেনে ‘প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জাম’ পাঠাচ্ছে।