নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। বছর দুয়েক আগে বিদ্যমান ব্যাংকগুলোর পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করা হয়। এখন নতুন ব্যাংকের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আবুল বশার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রচলিত ও শরীয়াহভিত্তিক উভয় ব্যাংকের ক্ষেত্রেই পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা থাকতে হবে। ২০১৯ সালে নতুন ব্যাংক অনুমোদনের পর ব্যাংকগুলোকে পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে দুই বছর সময় দেয়া হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এক সময়ে ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ছিল ৫০ লাখ টাকা। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ হওয়ার পর পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। ২০০৩ সালের মার্চে তা আরও বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকা, ২০০৭ সালে তা ২০০ কোটি টাকা, ২০১১ সালে তা দ্বিগুণ করে ৪০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়।
গত বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স নিতে পরিশোধিত মূলধন আরও ১০০ কোটি টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসে।
স্বাধীনতার পর ১৯৮৩ সালে প্রথমবারের মতো বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাংক খোলার অনুমতি দেয়া হয়। এরপর ১৯৯৫ ও ২০০১ সালে বেসরকারি খাতে আরও কিছু ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া হয়। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পায় ৯টি ব্যাংক। সব মিলিয়ে ২০০৮ থেকে তিন দফায় ১৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া হয়।