গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন বাংলাদেশের ওয়ান ডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে হঠাৎ করেই এক সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘আজ এই মুহূর্ত থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার দিনভর আলোচনার পর শুক্রবার দুপুরে তামিম ইকবালকে গণভবনে ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায় মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
গণভবন সূত্র দেশ রূপান্তরকে জানায়, শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে গণভবনে গেছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। তামিম ও তার স্ত্রী এবং মাশরাফরি সঙ্গে আলাদা আলাপের পর পাপনসহ তামিমের অবসর ইস্যু নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে, সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছেন তামিম।
এরপর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গণভবন থেকে বের হয়ে তামিম অবসর থকে সরে আসার কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর বাসা থেকে বের হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে তামিম বলেছেন, ‘আজ দুপুরবেলায় আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বাসায় দাওয়াত করেছিলেন। উনার সঙ্গে অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন খেলায় ফিরে আসতে। আমি আমার রিটয়ারমেন্ট এই মুহূর্তে তুলে নিচ্ছি। কারণ আমি সবাইকে না বলতে পারি কিন্তু দেশের যে সবচেয়ে বড় ব্যক্তি তাকে না বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। তাতে অবশ্যই পাপন ভাই ও মাশরাফি ভাইয়ের বড় ভূমিকা ছিল। মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে নিয়েছেন। পাপন ভাই সাথে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড় মাসের জন্য একটা ছুটিও দিয়েছেন। আমার যা চিকিৎসা আছে বা মানসিকভাবে যদি আমি ফ্রি হতে পারি… তারপরে যে খেলাগুলো আছে, আমি ইনশাআল্লাহ্ খেলব।’
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার একটা ধারনা হয়েছিল ওর (তামিমের) প্রেস কনফারেন্সটা দেখে, হয়তো আবেগ থেকে সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। আমার একটা বিশ্বাস ছিল, ওর সঙ্গে যদি সামনাসামনি একবার বসতে পারি তাহলে হয়তো এটার একটা সমাধান পাবো। আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আমরা সবাই ওর সঙ্গে বসেছিলাম এবং ও আপনাদের সামনেই বলে গেল, সে যে অবসরের চিঠিটা দিয়েছে সেটা সে প্রত্যাহার করছে। সে অবসর নেয় নাই।’