লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট পাটগ্রাম সীমান্তের ধরলা নদীতে ডুবে নিখোঁজের তিনদিন পর মমিনা খাতুন (৩০) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে উপজেলার খারিজা জোংড়া জুগিটারী সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় বিএসএফ ও ৬১ বিজিবি এবং পাটগ্রাম থানা পুলিশের মাধ্যমে ওই মানসিক প্রতিবন্ধীর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
নিহত মমিনা জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের মোবারক হোসেনের মানসিক প্রতিবন্ধী কন্যা।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট উপজেলার খারিজা জোংড়া যুগিটারী সীমান্তে ধরলা নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন ওই নারী। পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা শীতলখুচি এলাকায় তার মরদেহ উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে ভারতে বসবাসকারী পরিবারের লোকজন শীতলখুচি এলাকার বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে মরদেহটির পরিচয় সনাক্ত করেন।
নিহতের ভাই আব্দুল খালেক বলেন, মানসিক প্রতিবন্ধী বোন মমিনা খাতুন ৩দিন আগে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারেন ভারতে এক অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে লাশ সনাক্ত করা হয়। বিজিবি ও বিএসএফের মাধ্যমে ভারতে কাগজপত্র জমা দিয়ে তিনদিন পর মরদেহ পেয়ে রাতেই দাফন করি।
পাটগ্রাম থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই নারীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।