ঢালিউডের বহুল আলোচিত ও সমালোচিত চিত্রনায়িকা শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি বলেছেন, এখনও বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। বন্ধুবান্ধব আছে। আমি আর প্রেমে পড়তে বা বিয়ে করতে চাই না। কাজই আমার প্রেম।
শ্রাবন্তীর জন্মদিনের আগে এক আড্ডায় ‘বিয়ে করে নতুন করে জীবন শুরু করার পরিকল্পনা’ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে আনন্দবাজার অনলাইনকে এসব কথা বলেন তিনি।
আনন্দবাজারে সাক্ষাতকারমূলক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কলকাতার বিলাসবহুল আবাসনে ৩৭ তলায় ঢালিউডের নায়িকা শ্রাবন্তীর ফ্ল্যাট। সেখান থেকে প্রায় গোটা শহরের দৃশ্য দেখা। তবে তিনি নীচের দিকে নয়, বরং চোখ রাখেন আকাশে। চাঁদের আলো তাকে বড্ড টানে। ১৩ তারিখ তার জন্মদিন। ঠিক জন্মদিনের আগেই সেই ফ্ল্যাটে বসে ওই আড্ডা।
প্রায় ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে বন্ধু নাকি শত্রুর সংখ্যা বেশি এমন প্রশ্নের জবাবে টালিউডের এই অভিনেত্রী বলেন, যতই আমার সঙ্গে নেতিবাচক ঘটনা ঘটুক, আমি মানুষটাই খুব পজ়েটিভ। আমি বুঝতে পারি না, কে আমার শত্রু। সকলেই আসলে আমার সামনে অন্তত ভাল ব্যবহার করে। হয়তো সেই কারণেই বুঝি না। তবে, আমার স্কুলের বন্ধুদের একটা গ্রুপ আছে। সেটা আমার একান্ত আপন। ইন্ডাস্ট্রির কেউ নেই সেখানে। ইন্ডাস্ট্রির কেউই ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ নয়।
সিনেমা, দর্শকের রুচি পাল্টানোর প্রেক্ষিতে নিজেকে সেই মতো বদলানোর বিষয়ে শ্রাবন্তী বলেন, আমি নিজেকে জলের মতো ভাবি। যে পাত্রে রাখা হবে, সেই আকার ধারণ করব। আর সবচেয়ে বড় কথা, অভিনয়টা ভালবাসি। মন থেকে কিছু ভালবাসলে, সেটা ভাল হতে বাধ্য।
মুম্বাইতে কাজ করার ইচ্ছা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে টালিউড সুন্দরী বলেন, অভিনেত্রী হিসাবে ইচ্ছে তো হয়। বেশ কয়েক বছর আগে বলিউড থেকে প্রস্তাব আসে। তবে কাজটা করা হয়নি। ভবিষ্যতে পরিকল্পনা রয়েছে। আসলে টালিউডেই এত ব্যস্ত থাকি যে সেভাবে ভেবে দেখার সুযোগ হয়নি!
মন ভাঙলে শ্রাবন্তীর ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র প্রসঙ্গে এই নায়িকা বলেন, একা এসেছ, একাই যেতে হবে। নিজেকে ভালবাসো। যারা শর্তহীনভাবে ভালবাসেন, তাদের সেই ভালবাসা ফিরিয়ে দাও। ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে লাভ নেই। তাই আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেয়া একেবারেই অমূলক। জীবনে এগিয়ে যাওয়াটা লক্ষ্য হওয়া উচিত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা ও কটাক্ষ সামলানোর কৌশল নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, আগে খুব কষ্ট হত। ভাবতাম, আমার জীবনে খারাপ কিছু ঘটেছে বলেই আমি ‘সফ্ট টার্গেট’! এখন কিছু যায়-আসে না! সমাজমাধ্যমে নেতিবাচক খবর লোকে বেশি দেখে। আমি কাজ করব, নিজের কর্মফল পাব, ব্যস!
জীতুর ঘর ভাঙা নিয়ে ফেসবুক জুড়ে তার সমালোচনার জবাবে শ্রাবন্তী বলেন, খুব খারাপ লাগে যখন এগুলো শুনি। ওর ব্যক্তিগত জীবনে কী হচ্ছে, না হচ্ছে আমার দেখার বিষয় নয়। আর জীতুকে ২০১২ সাল থেকে চিনি। যে হেতু এখন ওর সঙ্গে কাজ করছি, তাই আমার নাম জুড়ে দেয়া হচ্ছে। একটা খবর ছড়ালে হাজারটা খবর শুরু হয়। আমার মনে হয়, সাইবার ক্রাইমের বিষয়টা দেখা উচিত।
ছেলে ও তার বান্ধবীকে নিয়ে দেশে-বিদেশে ঘুরতে যাওয়ায় নেটজুড়ে সমালোচনা নিয়ে টালিউডের সুন্দরী বলেন, কুছ তো লোগ কহেঙ্গে! আমার জীবন একটাই, আমি তো ভুল কিছু করছি না। যারা আমাকে নিয়ে এ সব কথা বলছেন, আমি বিপদে পড়লে তারা কি বাঁচতে আসবেন? কিন্তু সামনে পেলে এরাই আবার সেল্ফি তুলতে চাইবেন। বলবেন, ‘শ্রাবন্তী, তোমার ভীষণ বড় ফ্যান!’