মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গতকাল সোমাবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা গেছেন।
আজ সকাল ১০টার দিকে পিরোজপুরে আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে তার মরদেহ পৌঁছায়। দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে দাফনের জন্য জায়গা নির্ধারণ করেছে তার পরিবার।
নিজ জেলা পিরোজপুর শহরের কাছেই সাঈদী ফাউন্ডেশনের বায়তুল হামদ জামে মসজিদের পাশে তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন সাঈদীপুত্র মাসুদ সাঈদী।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে নিজের ফেরিভায়েড ফেসবুক পেজে সাঈদীপুত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইতোমধ্যে সেখানে দাফনের জন্য কবর খননের কাজ শুরু হয়েছে।
মাসুদ সাঈদী জানান, একই জায়গায় দাফন করা হয়েছে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর বড় ছেলে রফিক বিন সাঈদী, ছোট ভাই হুমায়ুন কবীর সাঈদী, বড় পুত্রবধু সুমাইয়া রাফিক সাঈদীকে।
সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বিবদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী। তার মৃত্যুর খবর শুনে বিপুল সংখ্যক জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও ভক্তরা হাসপাতাল এলাকায় জড়ো হন।
নেতাকর্মীরা ঢাকায় জানাজা করতে চাইলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বারণ করা হয়। অনড় অবস্থানে থাকে জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাতভর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের সামনে অবস্থান নেন। পুলিশও সতর্ক অবস্থানে থাকে।
অবশেষে ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের। সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেয় জামায়াতের নেতাকর্মীরা। পরে টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে কড়া পাহারায় অ্যাম্বুলেন্সে করে সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরের উদ্দেশে নিয়ে যায় পুলিশ।