এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালকে ২৩৮ রান হারিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করলো স্বাগতিক পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে বাবর আজম-ইফতিখারের জোড়া সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ৩৪২ রান তুলে পাকিস্তান। জবাবে ২৩.৪ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানে থামে নেপাল।
বুধবার (৩০ আগস্ট) মুলতানে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক পাকিস্তান। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম খেলেছেন ১৫১ রানের দারুণ এক ইনিংস। ব্যাট হাতে ঝোড়ো শতক হাঁকিয়েছেন ইফতিখার আহমেদও।
এদিন শুরুতে দারুণ বল করে পাকিস্তানকে চমকে দিয়েছিল নেপাল। শুরুতেই ফখর জামানকে (১৪) ফিরিয়ে দিয়েছেন করণ কেসি। আরেক ওপেনার ইমাম উল হকও (৫) রান আউটের খড়গে কাটা পড়েন। মাত্র ২৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে শঙ্কায় পড়ে পাকিস্তান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাবর আজম ও উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। ৮৬ রানের জুটিতে পাকিস্তানের হাতে ম্যাচের লাগাম ফিরিয়ে আনে তারা। রিজওয়ান ৫০ বলে ৬ চারে ৪৪ রান করে রানআউট হয়ে যান। আগা সালমানকেও (৫) ফিরতি পথ দেখিয়ে দেন সন্দ্বীপ লামিচানে।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে ইফতিখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে নেপালের বোলারদের কচুকাটা করেন বাবর। এক সময় মনে হচ্ছিল হয়ত নেপালকে কোনো মামুলি লক্ষ্যই দেবে পাকিস্তান। কিন্তু এই দুজনের ব্যাটে তরতর করে রান বাড়তে থাকে। ২৮তম ওভারের শেষ বলে ক্রিজে আসেন ইফতিখার।
এরপর পঞ্চাশতম ওভারের চতুর্থ বলে যখন বাবর বিদায় নেন ততক্ষণে পাকিস্তানের স্কোরকার্ডে তারা যোগ করেন ২২৪ রান। মাত্র ১৩১ বলে ১৫১ রান করেন বাবর। মাত্র ১০৪ ওয়ানডের ১০২ ইনিংসে ব্যাট করেই ১৯তম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। বাবরের ইনিংসে ১৪টি চারের পাশাপাশি ছিল ৪টি ছক্কাও। এর মধ্যে লামিচানকেই পরপর দুই বলে দুটি ছক্কা মারেন তিনি।
এদিন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ড বুকে জায়গা করে নিয়েছেন বাবর। ইনিংসের হিসেবে দ্রুততম সময়ে ১৯টি সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন পাকিস্তান অধিনায়কের। ১০২ ইনিংসেই এতগুলো শতক হাঁকিয়েছেন বাবর। তার আগে সবচেয়ে কম ১০৪ ইনিংসে ১৯টি শতক হাঁকিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী ব্যাটার হাশিম আমলা।
৪৯তম ওভারের পঞ্চম বলে করণকে চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইফতিখার। শেষ পর্যন্ত ৭১ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার। ১৫তম ওয়ানডেতে এসে তিনি প্রথম শতকের দেখা পেলেন।
নেপালের হয়ে সোমপাল কামী ১০ ওভারে ৮৫ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ৯ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেন করণ কেসিও। নেপালের সেরা বোলার সন্দ্বীপ লামিচানে ১০ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে আগা সালমানের উইকেটটি পান।