নেদারল্যান্ডসের মতো তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২৩০ রানের সহজ টার্গেট তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় টাইগাররা।
২৩০ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৯ রানেই ২ ওপেনারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুরুর এই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান।
এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ৭০ রানে প্রথম সারির ৬ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় টাইগাররা।
সপ্তম উইকেটে শেখ মেহেদি হাসানের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটিতে অসে ৭১ বলে ৩৮ রান। এরপর মাত্র ৫ রানে ফেরেন শেখ মেহেদি ও মাহমুদউল্লাহ।
৭ উইকেটে ছিল ১০৮ রান। ৩৮ বলে ১৭ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন শেখ মেহেদি। ৪০ বলে ২০ রানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনীতে ৪.২ ওভারে ১৯ রানের জুটি গড়ে ফেরেন লিটন কুমার দাস। ঠিক পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও।
১৯ রানে ২ ওপেনারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ। দলকে খেলায় ফেরাতে ব্যর্থ হন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান। লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানরা যথাক্রমে ৩, ১৫, ৯ ও ৫ রান করে ফেরেন।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে ৪০ বলে ৫টি চার আর এক ছক্কায় ৩৫ রান করে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ।
দলীয় ৭০ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। তিনি ৫ বলে মাত্র ১ রানে আউট হন।
এর আগে নেদারল্যান্ডসকে ২২৯ রানে গুঁড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। টানা চার ম্যাচে হেরে যাওয়া সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটিকে জয়ে ফিরতে হলে আজ করতে হবে ২৩০ রান।
শনিবার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের ২৮তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস।
এদিন ভারতের কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২২৯ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন অধিনায়ক স্কট এডোয়ার্ডস। ৪১ রান করেন ওয়েসলি বেরেসি। ৩৫ রান করেন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট।
ইনিংসের শুরুতে তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের গতির মুখে পড়ে মাত্র ৪ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় নেদারল্যান্ডস।
দলের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে হাল ধরেন ওয়েসলি বারেসি ও কলিন একারম্যান। তৃতীয় উইকেটে তারা ৬৮ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরান। এরপর শূণ্য রানের ব্যবধানে ফেরেন ওয়েসলি বারেসি ও কলিন একারম্যান।
কলিন একারম্যানকে ফিরিয়ে এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান সাকিব। দলীয় ৬৩ রানে একারম্যান ৩৩ বলে ১৫ রান করে ফেরেন। এরপর কোনো রান যোগ হওয়ার আগে ফেরেন বারেসিও। তিনি মোস্তাফিজের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৪১ বলে তিন চারে ৪১ রান করেন।
১০৭ রানে ৫ উইকেট পতনের পর ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক স্কট এডোয়ার্ডসের সঙ্গে ১০৫ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট।
এরপর নেদারল্যান্ডস ৪৪ রানের ব্যবধানে হারায় ৫ উইকেট। ৮৯ বলে ৬টি বাউন্ডারিতে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৮ রান করে ফেরেন এডোয়ার্ডস। ৩৫ রানে ফেরেন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট। ৬ রানে রান আউট সিরাজ আহমেদ। ৯ রানে ফেরেন আরিয়ান বুট।
শেষ উইকেটে রীতিমতো ঝড় তুলেন লোগান ভেন বেক। দলীয় ২২৯ রানে পুল ভেন ম্যাকরেন আউট হলে ইনিংস শেষ হয়। তার আগে মাত্র ১৬ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন লোগান ভেন বেক।
বাংলাদেশ দলের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও শেখ মেহেদি হাসান।