বাংলা ৫২ নিউজ ডেক্স রিপোর্ট: বিএনপি ও জামায়াতের ডাকে টানা তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিন রাজধানীতে যানবাহন চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক। মঙ্গলবার সকাল থেকে সারা দেশে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে অবরোধের এই কর্মসূচি শুরু হয়, যা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। আজ সকাল ৭টা থেকে ১১টার মধ্যে ঢাকার নিউমার্কেট কলাবাগান সাইন্স ল্যাব, কমলাপুর, খিলগাঁও, রাজারবাগ, মৌচাক, মালিবাগ, রামপুরা, গুলশান, মহাখালী এলাকা ঘুরে অবরোধের প্রভাব দেখা যায়নি খুব একটা। গত রোববার বিএনপির হরতালে গণপরিবহন তেমন দেখা না গেলেও মঙ্গলবার অবরোধের মধ্যে সব সড়কেই বাস চলছে। সেই সঙ্গে আছে অটোরিকশা ও রিকশা। কিছু ব্যক্তিগত গাড়িও দেখা গেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও রুটি-রুজির তাগিদে মানুষকে ঠিকই রাস্তায় বের হতে হয়েছে। বিভিন্ন সড়কের দেখা গেছে অফিসগামীযাত্রীদের ভিড়। সড়কের মোড়ে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা গেছে। অবরোধে নাশকতা ঠেকাতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা রাস্তায় নেমেছেন আগের রাতেই।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সরকারের পদত্যাগ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ গ্রেপ্তার সব রাজনৈতিক নেতা ও আলেম-ওলামার মুক্তির দাবিতে ৩১ অক্টোবর এবং ১ ও ২ নভেম্বর সারাদেশে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেন জামাতে ইসলাম।
জামাতে ইসলামের ডাকা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচিকে উপেক্ষা করে পেটের ও জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে বের হয়েছেন শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ। রিকশাচালক আকবর আলী বলেন, “অবরোধ দিয়ে কি করুম পেটের দায় বের হইতে হয়, কেউ তো আমগো খোরাক দিব না।”
বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন কর্তৃক হরতাল, অবরোধ ও সহিংসতায় সামাজিক ও অর্থনীতিতে এর প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক জনাব মোঃ শাহাজান বলেন, “ একটি দেশ ও সমাজ ভালোভাবে চলতে গেলে হরতাল অবরত রাজনৈতিক সহিংসতা কোনভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষাক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায়, দৈনন্দিন পেশাজীবীদের রুজি রোজগারে এবং দেশের অর্থনীতিতে রাজনৈতিক সহিংসতা হরতাল ও অবরোধের মতো ভয়ংকর কর্মসূচি ব্যাপক হারে নেগেটিভ প্রভাব ফেলে।”