একের পর এক জয় নিয়ে এবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট হওয়ার দৌড়ে এসেছে আফগানিস্তান। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৭ উইকেট আর ১১১ বল হাতে রেখেই হারিয়েছে তারা। এই জয়ের পর তাদের ৭ ম্যাচে হয়েছে ৮ পয়েন্ট। সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার। ফলে বড় দলগুলোর সঙ্গে সেমির দৌড়ে সমানতালে এগোচ্ছে আফগানরাও।
শুক্রবার ভারতের লখনৌতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় নেদারল্যান্ডস। ১৩৪ রানে হারায় প্রথমসারির ৭ উইকেট। ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ৪৬.৩ ওভারে ১৭৯ রানেই অলআউট হয় ডাচরা।
লখনৌতে আজ বোলাররাই জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করে দিয়েছেন আফগানিস্তানকে। জয়ের লক্ষ্য ছিল মোটে ১৮০ রান। ৫৫ রানের মধ্যে রহমানুল্লাহ গুরবাজ (১০) আর ইব্রাহিম জাদরানকে (২০) হারালেও রহমত শাহ এবং অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদির ফিফটিতে জয় পেতে কষ্ট হয়নি আফগানদের।
৫৪ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫২ করে আউট হন রহমত। তবে অধিনায়ক শহিদি দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। ৬৪ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২৮ বলে হার না মানা ৩১ করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
এর আগে নেদারল্যান্ডসকে যেন শনির দশা পেয়ে বসেছিল। এক ইনিংসে চার-চারজন ব্যাটার কিনা পড়লেন রানআউটের ফাঁদে! আফগানিস্তান বোলিংও করেছে দুর্দান্ত। ফলে ৪৬.৩ ওভারে ১৭৯ রানেই গুটিয়ে যায় ডাচদের ইনিংস।
লখনৌতে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ডস। শুরুতেই ধাক্কা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মুজিব উর রহমান এলবিডব্লিউ করে ফেরান ওয়েসলি বেরেসিকে। নেদারল্যান্ডসের বোর্ডে তখন মাত্র ৩ রান।
শুরুর সেই ধাক্কা অনেকটাই সামলে উঠেছিলেন কলিন অ্যাকারম্যান আর ম্যাক্স ও’দাউদ। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ৬৯ রানের মারকুটে জুটি গড়েন তারা। কিন্তু এরপর টানা তিন রানআউটে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ডাচরা। ও’দাউদ ৪০ বলে ৪২, কলিন অ্যাকারম্যান ৩৫ বলে ২৯ আর অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস ১ বলে ০ করে হন রানআউট।
সাইব্রেন্ড অ্যাঙ্গেলব্রেখট একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন। কিন্তু তাকেও পড়তে হয়েছে রানআউটের ফাঁদে। ৮৬ বলে ৬ বাউন্ডারিতে এই ব্যাটার করেন ৫৮ রান। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়া সাইব্রেন্ড ডাচদের ইনিংসে একমাত্র হাফসেঞ্চুরিয়ান। আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি ২৮ রানে ৩টি আর নুর আহমেদ ৩১ রানে নিয়েছেন ২টি উইকেট।