প্রধানমন্ত্রীর জন্য আমার মায়া লাগে, কষ্টও হয় বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। কষ্ট ও মায়া লাগার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নিজের ও আওয়ামী লীগের করুণ পরিণতি ডেকে আনছেন।
নুর বলেন, সরকারের হাতে এখনও সুযোগ আছে। ২৮ অক্টোবর থেকে বিরোধী দলসমূহের আটক সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিয়ে আলাপ-আলোচনা করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে পদত্যাগ করুন, সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।
তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলসমূহের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে রোববার বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
নুর বলেন, সরকার জনগণের কথা শুনছে না। জনগণের মতামত উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। যা সরকারের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। নির্বাচনে যাওয়ার জন্য বিরোধী দলগুলোকে চাপ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকে ভাগবাটোয়ারার জন্য লাইন দিয়েছে। কাজেই এখন কারা দেশপ্রেমিক কারা সুবিধাবাদী দালাল সেটা চেনার সময়। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদেরও বলবো, রাজপথে নামুন, নেতৃত্ব দিন, জাতি আপনাদের নেতা বানাবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, আমরা প্রতিটা দিন হামলা-মামলা উপেক্ষা করে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ। দেখেন আমাদের কারও হাতে লাঠি নাই। অথচ আওয়ামী লীগ লাঠিসোঁটা হাতে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ করছে। সরকারের মন্ত্রী এমপিরাও বলছে, গজারি, লগি-বইঠা নিয়ে রাস্তায় নামার জন্য। এভাবে তারা দেশে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। কিন্তু বিরোধীদলকে উস্কানির ফাঁদে পড়া যাবে না।