দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী অপরাধ আমলে নেয়া ও সংক্ষিপ্ত বিচারের জন্য আগামী ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬৫৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইন-১ শাখার সহকারী সচিব মো. আল-আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নির্বাচনী এলাকায় ৬৫৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ভোটগ্রহণের আগের দুইদিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দুইদিন (৫ জানুয়ারি হতে ৯ জানুয়ারি) মোট পাঁচ দিনের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ প্রদান করল।
ইসি জানায়, ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পাওয়া নির্বাচনী এলাকায় এই নিয়োগপত্রের বিপরীতে সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ঢাকা বরাবর যোগদানপত্র দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করবেন। ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালনকালে কোনো নির্বাচনী অপরাধ বিচারার্থে আমলে নেওয়া হলে সে মর্মে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিবের (আইন) কাছে পাঠাবেন। দায়িত্ব পাওয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের নিমিত্ত অবমুক্ত করার জন্য সকল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুরোধ করা হলো।
ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালনের সময় ১ জন বেঞ্চ সহকারী, স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সঙ্গে নিতে পারবেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের নিজ নিজ অফিস প্রধানকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আজ থেকে শুরু হয়ে ১৯ দিন প্রচারণা করতে পারবে প্রার্থীরা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।