নিত্যপণ্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে একজোট হয়ে যে চেষ্টা সাধারণভাবে ‘সিন্ডিকেট’ নামে পরিচিতি পেয়েছে, সেটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পদ্ধতি বের করতে চান নতুন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ।
তিনি জানিয়েছেন, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও ‘সিন্ডিকেট’ নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শপথের পর রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যোগ দেন মন্ত্রী। এরপর সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন।
তিনি বলেন, “সিন্ডিকেট সব জায়গায় থাকে। তাদের কীভাবে ক্র্যাশ করতে হবে, সেটার পদ্ধতি বের করতে হবে।
“কাউকে গলা টিপে মারার সুযোগ নেই আমাদের। কর্মের মাধ্যমে এগুলোকে কন্ট্রোল করতে হবে। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বারোপ করা হবে। সিন্ডিকেট অবশ্যই দুর্বল হয়ে যাবে।”
মৌলভীবাজার-৪ আসনে সাতবারের সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ এর আগে মন্ত্রী মর্যাদায় সংসদে সরকারদলীয় চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারই প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় এসে তিনি আওয়ামী লীগর সরকারের একটি নির্বাচনি অঙ্গীকার পূরণের অন্যতম হাতিয়ার হতে যাচ্ছেন।
দুই বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দুর্ভোগে পড়া দেশবাসীর জীবনকে সহজ করতে চায় সরকার। এই লক্ষ্য পূরণে যে মন্ত্রণালয়গুলোর ভূমিকা মুখ্য, তার একটি হলো কৃষি।
কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যয় কমানো, কৃষকের ‘ন্যায্যমূল্য’ প্রাপ্তি নিশ্চিত, ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার প্রবণতা রোধসহ নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে নতুন মন্ত্রীর।
আব্দুস শহীদ সাংবাদিকদের বলেন, “কৃষিতে তো উৎপাদনটাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি উৎপাদন না করতে পারি তাহলে বাজার কীভাবে দখল করব, মূল্য কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব, কীভাবে ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই চেইনকে কার্যকর করব?
“সেজন্য সব সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফসলের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি জমিকে আবাদের আওতায় আনতে কাজ করব।”
কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে মতবিনিময়ে মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৮টি সংস্থার প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।