গত বছর ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ ঘিরে বিএনপি যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা আরও ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন জরিপের ফলাফল মাথায় রেখেই বিএনপি এবারের নির্বাচনে আসেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় ফোরামের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের এই অফিসে ঢুকতে দিত না, চার দিকে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়া ছিল। অনেক সময় নেতা-কর্মীরা আটকা পড়ত, তখন আমি বাধ্য হয়ে জোর করে ঢুকতাম এবং নেতা-কর্মীদের উদ্ধার করতাম। ২০০১ এ নির্বাচনের পর আমাদের অফিসটা হয়ে গেছিল হাসপাতাল। কারণ, বিভিন্ন জেলা থেকে আহত নেতা-কর্মীরা এখানে আশ্রয় নিয়েছিল। নেতাকর্মীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, খাওয়ার ব্যবস্থা আমরা এখানে করেছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর জাতির পিতাকে হত্যার পর আমাদের ইতিহাসকে বিকৃতি করা হয়েছে। স্বাধীনতাকে বিকৃত করা হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়েছে। কোনো আত্মত্যাগ বৃথা যায় না।
দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষ কষ্টে আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ে কাজ করছি। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে এনেছি। এরপরেও কিছু মানুষ চক্রান্ত করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াচ্ছে। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি।
নিম্নআয়ের মানুষের জন্য কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা ফ্যামিলি কার্ড করে দিচ্ছি। এর সুফল পাচ্ছেন সীমিত আয়ের মানুষেরা। এছাড়া চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া উন্নয়নের যে কাজ চলছে, তা আমাদের শেষ করতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রথমবারের মতো দলীয় কার্যালয়ে আসেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের শুরুতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় প্রধানকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান।
যৌথসভায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা এবং সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেন।