সোনাগাজী প্রতিনিধি : সোনাগাজীর পালগীরি মাচ্ছাপুকুর জামে মসজিদের নির্মানাধীন অজুখানা ভেঙ্গে জবরদখলের প্রতিবাদে ও ভূমিদস্যু আমির হোসেন গংদের বিচার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মসজিদ পরিচালনা কমিটি, জমিদাতাগণ ও স্থানীয় মুসল্লীরা।
রবিবার বিকালে সোনাগাজী পৌর-শহরের মধুমেলা হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম পালগীরি আদর্শ সমাজের সভাপতি ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন সেলিম, মসজিদের জমিদাতা মোঃ ইব্রাহিম এবং মোঃ ইসমাইল, প্রবাসী সমাজসেবক জাহেদ হাসান মুন্না।
সমাজের সভাপতি ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন সেলিম তার বক্তব্যে বলেন, মুসল্লী ও কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা মসজিদের মালিকানাধীন জায়গায় অজুখানা নির্মান শুরু করি, গত ১৬জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে একই এলাকার আমির হোসেন নামের একজন হঠাৎ এসে নির্মানাধীন অজুখানা ভেঙে পুকুরে পেলে দেয় এবং সমাজ ও মসজিদ কমিটির লোকজন কে হুমকি দেয়।
মসজিদের জমিদাতা মোঃ ইব্রাহিম এবং মোঃ ইসমাইল বলেন, এই মসজিদের জন্য আমাদের পিতা তাজুল ইসলাম সেরাং এবং চাচা নুর ইসলাম তাদের জীবদ্দশায় ৯শতক ভূমি ওয়াকফ করে যান, আমরা আমাদের পিতার মাগফেরাত কামনায় আমারা ৫ওয়ারিশ মিলে আরো ১৪.৬৬ শতক দান করি। আমাদের ভাই জাহাঙ্গীর আলম এলাকার আমির হোসেন নামক এক ব্যক্তির কাছে ২শতক ভূমি বিক্রি করে, কিন্তু আমাদের কে সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য গ্রহীতা আমির হোসেন মসজিদের অজুখানা ভেঙ্গে জবর দখলের চেষ্টা চালায়, অথচ একই খতিয়ানের একই দাগে আরো ১১ডিসিম ভূমি অবশিষ্ট আছে, আমির হোসেন সেখান থেকে দখল না নিয়ে মসজিদের অজুখানা ভেঙে জবরদখলের চেষ্টা চালায়, যা অত্যন্ত অমানবিক অসামাজিক ও গর্হিত কাজ বলে প্রতিয়মান হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পালগিরী এলাকার প্রবাসী সমাজসেবক জাহেদ হাসান মুন্না বলেন, আমি একজন প্রবাসী, আমরা প্রবাসীরা মসজিদ মাদ্রাসার জন্য সব সময় দান করি, কিন্তু ১৪/১৫ মাস আগে ইরাক থেকে ভিসা ক্যানসেল করে দেশে চলে আসা একজন ব্যক্তি যখন নিজেকে প্রবাসী দাবী করে মসজিদের ভূমি জবরদখল করে, সমাজের বিরুদ্ধে কাজ করে তখন আমরা প্রবাসী হিসাবে লজ্জিত হই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত লোকজন আমির হোসেনের এমন অমানবিক অসামাজিক ও গর্হিত কাজের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবী করেন।
এসময় জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক গণ উপস্থিত ছিলেন।