ঢাকা , শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গঙ্গাচড়ায় সাংবাদিকদের মারধর ও ওসির আচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম নুরুল হকের মরদেহে অগ্নিসংযোগ অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ- সরকারের প্রেস উইং গোয়ালন্দে ‘নুরাল পাগলার’ লাশ তুলে পুড়িয়ে দিল বিক্ষুব্ধরা, আহত অর্ধশত মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে- প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ পাংশায় আল মদিনা ফাউন্ডেশনের ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপকূল থেকে COP30 সম্মেলনে শিশু প্রতিনিধি সাতক্ষীরার নওশীন ইসলাম বিশ্বনবীর জন্মদিন উপলক্ষে কাশিনাথপুরে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা আনন্দ র‍্যালি অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মাহিন সরকার রামগড়ে অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান পুড়ে ছাই

নুরুল হকের মরদেহে অগ্নিসংযোগ অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ- সরকারের প্রেস উইং

সাংবাদিক

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ দাবিদার নুরুল হক ওরফে নুরা পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রেস উইং থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে সরকার এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।

বিবৃতিতে এ ঘটনাকে দেশের মূল্যবোধ, আইন ও সভ্য সমাজব্যবস্থার প্রতি সরাসরি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে সরকার দৃঢ় ভাষায় জানায়, এ ধরনের কোনো বর্বরতা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। জীবিত ও মৃত সবার মর্যাদা রক্ষায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সরকার আরও জানায়, এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত সকলকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীই দায়মুক্তি পাবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়াও, ঘৃণা ও সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে মর্যাদা, ন্যায় ও মানবিকতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সরকার জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়ায় একদল লোক নুরুল হকের কবর থেকে মরদেহ তুলে এনে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা দরবার শরিফ ও নুরুল হকের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় দরবারের ভক্তসহ ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মারা যাওয়া নুরুল হকের কবর মাটি থেকে কিছুটা উঁচু করে এবং কাবা শরিফের আদলে তৈরি করা হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে তৌহিদি জনতার মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ ও উত্তেজনা ছিল। স্থানীয় প্রশাসন উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিল। তবে জুমার নামাজের পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে আসা তৌহিদি জনতা এই হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৩:১০:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৫১১ Time View

নুরুল হকের মরদেহে অগ্নিসংযোগ অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ- সরকারের প্রেস উইং

আপডেটের সময় : ০৩:১০:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ দাবিদার নুরুল হক ওরফে নুরা পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রেস উইং থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে সরকার এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।

বিবৃতিতে এ ঘটনাকে দেশের মূল্যবোধ, আইন ও সভ্য সমাজব্যবস্থার প্রতি সরাসরি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে সরকার দৃঢ় ভাষায় জানায়, এ ধরনের কোনো বর্বরতা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। জীবিত ও মৃত সবার মর্যাদা রক্ষায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সরকার আরও জানায়, এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত সকলকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীই দায়মুক্তি পাবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়াও, ঘৃণা ও সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে মর্যাদা, ন্যায় ও মানবিকতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সরকার জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়ায় একদল লোক নুরুল হকের কবর থেকে মরদেহ তুলে এনে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা দরবার শরিফ ও নুরুল হকের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় দরবারের ভক্তসহ ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মারা যাওয়া নুরুল হকের কবর মাটি থেকে কিছুটা উঁচু করে এবং কাবা শরিফের আদলে তৈরি করা হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে তৌহিদি জনতার মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ ও উত্তেজনা ছিল। স্থানীয় প্রশাসন উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিল। তবে জুমার নামাজের পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে আসা তৌহিদি জনতা এই হামলা ও ভাঙচুর চালায়।