ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির তৃণমূলের আস্থা হাসান মামুন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার জনাব মনজুরুল করিম খান চৌধুরী পাহাং রাজ্যের “কসমা প্লান্টেশন” পরিদর্শন করেন শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু ২৩৭ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক আজ দেবিদ্বারে লরির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নাজমুলের মৃ*ত্যু দেশে এখন ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ দীঘিনালায় অবৈধ বালু উত্তোলনে ১ লাখ টাকা জরিমানা কাপ্তাইয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নুরুল হকের মরদেহে অগ্নিসংযোগ অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ- সরকারের প্রেস উইং

সাংবাদিক

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ দাবিদার নুরুল হক ওরফে নুরা পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রেস উইং থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে সরকার এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।

বিবৃতিতে এ ঘটনাকে দেশের মূল্যবোধ, আইন ও সভ্য সমাজব্যবস্থার প্রতি সরাসরি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে সরকার দৃঢ় ভাষায় জানায়, এ ধরনের কোনো বর্বরতা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। জীবিত ও মৃত সবার মর্যাদা রক্ষায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সরকার আরও জানায়, এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত সকলকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীই দায়মুক্তি পাবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়াও, ঘৃণা ও সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে মর্যাদা, ন্যায় ও মানবিকতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সরকার জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়ায় একদল লোক নুরুল হকের কবর থেকে মরদেহ তুলে এনে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা দরবার শরিফ ও নুরুল হকের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় দরবারের ভক্তসহ ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মারা যাওয়া নুরুল হকের কবর মাটি থেকে কিছুটা উঁচু করে এবং কাবা শরিফের আদলে তৈরি করা হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে তৌহিদি জনতার মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ ও উত্তেজনা ছিল। স্থানীয় প্রশাসন উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিল। তবে জুমার নামাজের পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে আসা তৌহিদি জনতা এই হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৩:১০:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৬৪২ Time View

নুরুল হকের মরদেহে অগ্নিসংযোগ অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ- সরকারের প্রেস উইং

আপডেটের সময় : ০৩:১০:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ দাবিদার নুরুল হক ওরফে নুরা পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রেস উইং থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে সরকার এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।

বিবৃতিতে এ ঘটনাকে দেশের মূল্যবোধ, আইন ও সভ্য সমাজব্যবস্থার প্রতি সরাসরি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে সরকার দৃঢ় ভাষায় জানায়, এ ধরনের কোনো বর্বরতা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। জীবিত ও মৃত সবার মর্যাদা রক্ষায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সরকার আরও জানায়, এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত সকলকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীই দায়মুক্তি পাবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়াও, ঘৃণা ও সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে মর্যাদা, ন্যায় ও মানবিকতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সরকার জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়ায় একদল লোক নুরুল হকের কবর থেকে মরদেহ তুলে এনে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা দরবার শরিফ ও নুরুল হকের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় দরবারের ভক্তসহ ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মারা যাওয়া নুরুল হকের কবর মাটি থেকে কিছুটা উঁচু করে এবং কাবা শরিফের আদলে তৈরি করা হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে তৌহিদি জনতার মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ ও উত্তেজনা ছিল। স্থানীয় প্রশাসন উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিল। তবে জুমার নামাজের পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে আসা তৌহিদি জনতা এই হামলা ও ভাঙচুর চালায়।