বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ২১ বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক-২০২৪ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবার ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে ২ জন, শিল্পকলায় ১১ জন, ভাষা সাহিত্যে ৪ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও শিক্ষায় ১ জন করে এবং সমাজসেবায় ২ জন একুশে পদক পাবেন।
ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া। শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে ১১ জন হলেন; সংগীতে জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব। অভিনয়ে ডলি জহুর ও এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় দুজন হলেন মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ ও শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু।
এছাড়া ভাষা ও সাহিত্যে পদকপ্রাপ্ত ৪ জন হলেন— মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর)।
একুশে পদক রাষ্ট্রীয় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি বছর এ সম্মাননা দেয়া হয়। নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ চার লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়। ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্যবিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেয়া হচ্ছে।