গতকাল থেকেই একটি ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় চলছে ক্রীড়াঙ্গনে। যার কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। সন্ধ্যায় লাইভে এসে ওই ফোনালাপের নেপথ্য ঘটনা কী তা অবশেষে খোলাসা করলেন তামিম ইকবাল।
মূলত মোবাইল আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান নগদ-এর প্রচারকে কেন্দ্র করেই মিরাজের সঙ্গে তামিমের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনার মঞ্চায়ন। আজ (বুধবার) সন্ধ্যা ৭টায় ঘোষণামতো লাইভে আসেন তামিম। এ সময় তার সঙ্গে আরও যুক্ত ছিলেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সর্বশেষে যুক্ত হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং নগদের নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকতানভীর এ মিশুক।
লাইভে তামিম জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে নগদের একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। যেখানে ২৪ জন গ্রাহককে জমি উপহার দেওয়া হবে। সেই ক্যাম্পেইনে জয়ের জন্য দুইজন বা তিনজন করে দল গঠন করে লেনদেন করতে হবে। যেই দলেই মুশফিককে রেখেছিলেন তামিম। তবে মুশফিক বের হয়ে গেছেন।
মূলত এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তাদের ফোনালাপ। যা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপরই শুরু হয় নানা বিতর্ক। অনেক ভক্তরাই ভেবে নেন, হয়তো বিপিএলে তামিমের দল ছেড়ে অন্য দল গঠন করছেন মুশফিক। কিন্তু পুরো বিষয়টিই ছিল নগদের প্রচার। যা একদিন পরই খোলাসা করলেন এই ক্রিকেটাররা।
এর আগে আলোচিত সেই ফোনালাপে তামিমকে বলতে শোনা যায়, গত বিপিএলে তাদের যেমন দল ছিল, তিনি প্রায় সেরকম দলই পরের বছর রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুশফিক কথা রাখেননি– ‘মুশফিক এটা কোনো কাজ করছে রে মিরাজ? ফাইনালের পরে আমাদের মিটিংয়ে কী কথা হইছে? আমি তোরে ওই সময় একটা কথা বলছিলাম না যে আমরা চেষ্টা করব যে ৭০ থেকে ৮০ পারসেন্ট আমরা যেন সেইম টিম থাকতে পারি। ঠিক আছে? আর এই কথায় আমার বেইসই ছিল তুই মুশফিক সবাই–সহ। ঠিক না?’
তামিম অভিমান করে বলেছেন, তিনি জাতীয় দলে থাকলে বা অধিনায়ক হিসেবে থাকলে তার সঙ্গে কেউ এরকম ব্যবহার করতো না। আজ সবাই সুযোগ নিচ্ছে, ‘যদি ক্যাপ্টেন থাকতাম তাহলে তো তোরা এটা করতে পারতি না। এখন আমার দাম নাই, তাই তোরা এসব করছো। অসুবিধা নাই মিরাজ, সময় আমারও তো আসবে। একটা কথা শোন- পৃথিবীটা গোল তুই ওই সাইডে আমি এই সাইডে, কালকে আমি ওই সাইডে বসবো তুই এই সাইডে আসবি। বিষয়টা ভুলে যাইসনা, তোর বড়ভাইকেও বলে দিস।’
তামিম সবচেয়ে দুঃখ পেয়েছেন, মুশফিক তাকে একেবারেই কিছু না জানিয়ে আলাদা দল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়। সেটা না লুকিয়েই তিনি বলেছেন, ‘ছোটবেলা থেকে ও আমার ফ্রেন্ড। ও একবার আমাকে অ্যাটলিস্ট বলত, চলে যাওয়ার আগে। অ্যাটলিস্ট তখন তো আমার একটু শান্তি হইতো যে, বলে গেছে। অসুবিধা নাই মিরাজ। সময় আমারও তো আসবে। এখন তো ন্যাশনাল টিমে খেলি না, তাতে অনেকের ভাব বেড়ে গেছে।’