যুক্তরাজ্যের প্রিন্সেস অব ওয়েলস ও ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ মার্চ) দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় কেট মিডলটন নিজেই তার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান।
তবে তিনি সুস্থ আছেন এবং তার চিকিৎসা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শনিবার (২৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
অবশ্য কিছুদিন আগেই ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। এরপর এলো তারই পুত্রবধূ কেটের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি একটি সার্জারি করিয়েছিলেন।
কেট জানিয়েছেন, ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি সামনে আসার পর আপাতত তার কেমেথোরাপি চলছে। সদ্যই তিনি জানতে পেরেছেন, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। গত জানুয়ারি মাসে তার পেটে একটি সার্জারি হয়েছিল। এরপর তার কিছু মেডিকেল টেস্ট হয়। সেসব টেস্টের রিপোর্টে জানা গেছে, ব্রিটেনের রাজ পরিবারের বধূ আক্রান্ত হয়েছেন ক্যানসারে।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে ২ সপ্তাহের জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কেট।
কেট মিডলটনের অফিস বলছে, জানুয়ারি মাসে তার যে সার্জারিটি হয়েছিল, তা ক্যানসার সংক্রান্ত ছিল না। সেটি আগে থেকেই ঠিক ছিল হবে। সেই সার্জারি করার পর কেট মিডলটনের বেশ কিছু টেস্ট হয়। আর সেই টেস্টেই ধরা পড়ে ব্রিটিশ রাজবধূর ক্যানসারের খবরটি।
এক ভিডিও বার্তায় কেট নিজেই এই কঠিন লড়াইয়ের বাস্তব সত্যটি জানান। ভিডিওতে কেট বলছেন, ‘আমার মেডিকেল টিম পরামর্শ দিয়েছে, আমাকে প্রতিরোধমূলক কেমোথেরাপির একটি কোর্স সম্পন্ন করা উচিত এবং আমি এখন সেই চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটন চিরকালই খুবই সাধারণের মধ্যে মিশে যেতে পারেন। তার উদ্যম, উদ্দীপনায় ভরা রূপকে গোটা বিশ্ব চেনে। সেই কেট এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওর মাধ্যমে বিশ্বের সামনে তার শারীরিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরলেন। তিন সন্তানের মা ও প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেটের শারীরিক পরিস্থিতি বেশ কিছুটা উদ্বেগের বিষয় ব্রিটিশ রাজ পরিবারের জন্য।
ভিডিওতে কেট স্বীকার করে নিয়েছেন, তার কাছে এই ক্যানসারের খবর বেশ বড় ধাক্কা। তিনি বলছেন, ‘এটি অবশ্যই একটি বিশাল ধাক্কা হিসাবে এসেছে এবং উইলিয়াম যা যা করা দরকার করছে এবং পরিস্থিতিকে যেভাবে মোকাবিলা করা দরকার আমাদের এই কমবয়সী পরিবারের জন্য, তাই করছি’।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে খবর এসেছিল, রাজা তৃতীয় চার্লস ক্যানসারে আক্রান্ত। আর এর জেরে রাজ-দায়িত্ব থেকেও সেসময় তাকে বেশ কিছুটা বিরতি নিতে হয়েছিল।