স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেত্রী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলি তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে সামাজিক মানহানি করার অভিযোগ তুলেছেন। ইতোমধ্যে অপপ্রচাররের সুযোগে অনেকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।
সাম্প্রতি চামেলির নামে একটি এডিটেড (সম্পাদিত) ভিডিয়ো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংগঠনের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় তাকে গত ২৪ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাময়িক অব্যহতি দিয়েছে সংগঠনের নির্বাহী সদস্য পদ থেকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিয়োটি রোকসানা আক্তার চামেলির বলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে সেটি প্রযুক্তির সহযোগিতায় একটি অশ্লীল ভিডিয়ো তৈরি করে তা চামেলির সম্মানহানি করতে একটি পক্ষ ব্যবহার করেছে। ভিডিয়োটিতে যে নারী হিসেবে চামেলির নাম বলা হচ্ছে সেটি প্রকৃতঅর্থে চামেলি নয়।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাইবার সিকিউরিটি, অপরাধ ও নৈতিকতা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন ড. তারিকুল ইসলাম। তিনি এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন হওয়ায় খুব সহজে সাধারণ অ্যাপস অথবা এডিটিং টুলস ব্যবহার করে যেকোনো ছবি বা ভিডিয়ো যে কেউ এডিট (সম্পাদনা) করতে পারে। আর এভাবেই সহজলভ্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে হয়রানি ও সম্মানহানি করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের উদাহরণ এটি। মানুষ তার সুবিধামতো প্রযুক্তির সহযোগিতায় অপপ্রচার চালিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে যা নৈতিকতা পরিপন্থী।
তিনি উল্লেখ করে বলেন, বিশেষ করে সরকারের বিরোধী শক্তি তারা প্রায়ই এমন অপপ্রচার করে থাকে। এমনটি করে সাম্প্রদায়িক হামলার মতো ঘটনাও দেশে ঘটানো হচ্ছে। আমাদের গুজবে বিশ্বাস করা যাবে না। সবকিছু যাচাই করতে হবে। এছাড়া এমন অপরাধ কমাতে নৈতিকতা ও সচেতনতার প্রতিও গুরুত্ব দেন তিনি।
এ বিষয়ে সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত – সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাজপথে সক্রিয় রয়েছি। আমি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফী এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ হুমায়ুন কবির এর প্রতি আস্থাশীল। বিজ্ঞ নেতৃবৃন্দ তাদের সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই পুনরায় বিবেচনা করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমাকে কেন্দ্র করে আমার সম্মানহানি করতে এবং অনেকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। এর পূর্বেও আমার নামে এমন অপপ্রচার চালানো হয় এবং সেটিও মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়। আমি মনে করি মিথ্যা দিয়ে কখনো সত্যকে লুকানো যায় না। সামনে আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচন করবো এটি জানতে পেরে একটি পক্ষ এমন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আশাকরি সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে আমি কাজ করে যাব ।