এবার দেশে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ জেলায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড জেলা আবহাওয়া অফিস।
জেলার ওপর দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় আগেই জেলার মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিকে তীব্র রোদ ও প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘জেলায় আজ বিকেলে তিনটায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা দেশের মধ্যে এ মৌসুমে সর্বোচ্চ। পুরো এপ্রিল মাসের বেশিরভাগ সময় জুড়েই চুয়াডাঙ্গার ওপর মৃদু, মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান রয়েছে। গত ১২ এপ্রিলের পর থেকে প্রতিদিনই চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহ ছিল। চলতি মাসে বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই।’
এমন তাপমাত্রার ফলে টানা খরতাপে জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে জনজীবন ওষ্ঠাগত। ভুগছে প্রাণীকূলও। দিন রাতের তাপমাত্রার পার্থক্যও থাকছে কম। দিনের বেলায় প্রচণ্ড রোদ আর সন্ধ্যার পর ভ্যাপসা গরম নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবনে। এই তাপপ্রবাহে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর এবং ভ্যান ও রিকশা শ্রমিকেরা। গরমে ঘেমে-নেয়ে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন।
এদিকে তীব্র তাপদাহে মাঠের ফল-ফসলও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছে। কোথাও কোথাও ফসল ঝলসে যাওয়ার খবর মিলেছে।
এর আগে দুপুর ২টায় যশোরে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল, যা যশোরে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে যশোরে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন ধরেই যশোরে তাপমাত্রা থাকছে ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির ঘরে।
তীব্র তাপদাহে বিশেষ কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না কেউ। গরমের কারণে বেনাপোল বন্দরে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যেও সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। দুপুর থেকে ফাঁকা হয়ে পড়ছে বন্দর এলাকা। তীব্র গরমে উত্তাপ কমাতে চাঁদপুরের বিভিন্ন সড়কে পানি ছিটাচ্ছে পৌরসভা। গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে দিনাজপুরের হিলিতে। এ অবস্থায় গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা।