২০ মে,২০২৪, সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯২০ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন হাজিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও বঙ্গবন্ধু গবেষক জনাব মাসুদ আহমেদ।
সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত হন খুলনা মডেল কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক ও খুলনা বেতার এর সংবাদ পাঠক এ টি এম আসাদুজ্জামান।
সেমিনারে গেস্ট অফ অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস এর ডিন ডক্টর দিপু সিদ্দিকী ।
এছাড়াও বিশিষ্ট আলোচক বৃন্দের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর ড. জেবুন্নেসা, বিভাগীয় প্রধান, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর মনোজ কুমার সেন, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস আকলিমা আক্তার, জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু, সাকিব আহমেদ, ব্যাংকার ও নাট্যব্যক্তিত্ব সন্দীপন বিশ্বাস ও সাদিয়া হালিমা, প্রমুখ।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তব্যে ড.কলিমউল্লাহ বলেন , “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন অকুতোভয় ব্যক্তিত্ব”।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল মাসুদ আহমেদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শিক্ষার আধুনিকায়ন
নিয়ে মূল বক্তব্য পেশ করেন।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে যুক্ত রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস এর ডিন ডক্টর দিপু সিদ্দিকী বলেন,
“বঙ্গবন্ধু সব সময় স্বাধীনতার আন্দোলনকে শুধু ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীন হওয়ার সংগ্রাম হিসেবে দেখেননি, তিনি এটাকে দেখেছেন নির্যাতিত দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম হিসেবে। তার জাতীয়তাবাদের ধ্যানধারণার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও সুষম সমাজব্যবস্থার চিন্তা।”
বিশিষ্ট আলোচক ইউ নেস ক্যাপ এর ডিসএ্যাবিলিটি রাইটস্ চ্যাম্পিয়ন আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, “বঙ্গবন্ধু সারা জীবন যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি মূলত মানুষের পছন্দগুলো নিশ্চিত করতে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি যখন দেখলেন পশ্চিম পাকিস্থানিদের নিকট গণতন্ত্রের মূল্য নাই যা দালিলিকভাবে প্রমানিত হলো ১৯৭০ এর নির্বাচন। তখন বঙ্গবন্ধু স্থির করলেন স্বাধিনতা ছাড়া পূর্ব পাকিস্থানীদের আর পথ নাই এবং এই অংশের মানুষরা কখনও গণতন্ত্রের সাধ ভোগ করতে পারবে না। তখনই সারা দেশ আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়লো এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। আমরা একটি স্বাধীন দেশ – বাংলাদেশ পেলাম। এই জন্য ধন্যবাদ আমাদের প্রিয় মানুষ বঙ্গবন্ধুকে ও সকল মুক্তিযোদ্ধাদেরকে।”
সেমিনারের মুখ্য আলোচক খুলনা মডেল কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক ও খুলনা বেতার এর সংবাদ পাঠক এ টি এম আসাদুজ্জামান জাতির পিতার রাজনৈতিক জীবন, ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের ঐতিহাসিক গনঅভ্যুত্থান, ৭ ই মার্চ এর ভাষণ ও জীবনাদর্শের
উপর আলোকপাত করে দীর্ঘ বক্তব্য প্রদান করেন।
বিশিষ্ট আলোচক প্রফেসর মনোজ কুমার সেন জাতির পিতার কৃষি রেভ্যুলেশন এর উপর আলোকপাত করেন।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস আকলিমা আক্তার জাতির পিতার শিক্ষা দর্শন এর উপর আলোচনা করেন।
প্রফেসর ড. জেবুন্নেসা জাতির পিতার কারাগারের রোজনামচা এর উপর আলোকপাত করেন এবং জাতির পিতার দীর্ঘ কারাবন্দী জীবনের ইতিহাস তুলে ধরেন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।