প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বজুড়ে এখন বড় সমস্যা মূল্যস্ফীতি, বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে, তবে আমাদের রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, সব দেশের মতো বাংলাদেশেও মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে। রিজার্ভেও একই কথা। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কারণ, আপদকালীন খাদ্য মজুত রয়েছে। বেশি আলোচনার জন্য এখন প্রায় সবাই রিজার্ভ নিয়েই কথা বলেন। আর এই সতর্কতা দেশের জন্য ভালো বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দলের নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। এ সময় ১৪ দলের নেতাদের তিনি বলেন, আপনারা এসেছেন, ভালো হয়েছে। খুশি হয়েছি আমি। সবার কথা শুনব… কীভাবে কী করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আরও সুসংগঠিত হয়ে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে মানুষের কাছে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ছাড়া এ দেশের মানুষের কল্যাণ হবে না। গ্রেনেড হামলাকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে প্রতিদিনই আন্দোলন, সরকার উৎখাতসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দেয়।
তিনি বলেন, জনগণ যতক্ষণ সঙ্গে আছে, আমি ওটা কেয়ার করি না। এরপরও দেশে জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ― এগুলো যেন না করতে পারে। যারাই এগুলো করবে, তাদের কোনো ছাড় নেই। যতই মুরুব্বি ধরুক, আর যাই ধরুক। এদের ছাড়ব না। যারা মানুষের ক্ষতি করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, এই নীতিতেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এগিয়ে যাবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যে বাধাগুলো আছে, সেগুলো অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছি। গাজায় গণহত্যা চলছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। যেখানেই যাই, এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলছি। ইরানের প্রেসিডেন্ট মারা যাওয়ার ঘটনায় আমরা শোক জানিয়েছি। শোক দিবসও পালন করেছি। যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েছে, আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় নীতিতে কাজ করছি।