২৫ মে,২০২৪, শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯২৫ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোঃ আবু সালেহ, সহকারী অধ্যাপক,
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ।
সেমিনারে গেস্ট অফ অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস এর ডিন ডক্টর দিপু সিদ্দিকী ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস আকলিমা আক্তার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকার ও নাট্যব্যক্তিত্ব সন্দীপন কুমার বিশ্বাস, জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু ও সাদিয়া হালিমা।
সভাপতির বক্তব্যে ড.কলিমউল্লাহ বলেন , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন মানবদরদী ব্যক্তিত্ব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড.
আবু সালেহ বলেন, বঙ্গবন্ধুর
৭ ই মার্চের ভাষণে মানবতা বোধ ফুটে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন – এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।
এখানে বৃহৎ অর্থে মানব মুক্তির কথা বলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু পররাষ্ট্র নীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বর্হিবিশ্বের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নয়ন করেছেন। বর্হিবিশ্বের সহায়তায় বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু যেমন এগিয়ে নিয়েছেন, তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তেমনি দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন ড. দীপু সিদ্দিকী, যার দক্ষ উপস্থাপনায় এই অনুষ্ঠানের ৯১৮ টি পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির মধ্যে যে জাতীয়তাবাদ এর বীজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বপন করে দিয়েছিলেন তা আজ শতধারায় স্ফুরিত, যার প্রমাণ আজকের এই ৯২৫ টি পর্বের জুম সেমিনার।
অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক
প্রিন্সিপাল মাসুদ আহমেদ বলেন , বঙ্গবন্ধু কৈশোর থেকেই ছিলেন মানবিক। তিনি তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুর কৈশোরে গড়ে উঠা পরোপকারী স্বভাবের কথা যেমন, গরীব বন্ধুকে বই দিয়ে সহায়তা করেছেন, বৃদ্ধদের খাবার ও গরম কাপড় দিয়ে সহায়তা করতেন, অসহায়ের পাশে থেকেছেন। বঙ্গবন্ধু কৈশোর থেকে রাজনীতির প্রবেশ পথে মানুষকে আপন করে নিয়েছেন। তিনি সর্বদাই বলতেন – আমার মানুষ কষ্টে আছে, আমার মানুষ না খেয়ে আছে , আমার মানুষ হত্যা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,
বঙ্গবন্ধু জনগণের জন্য নিবেদিত ছিলেন বলেই জনগণ বঙ্গবন্ধুর জন্য নিবেদিত ছিল।
সেমিনার উপস্থিত বিশেষ অতিথি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস আকলিমা আক্তার বলেন, ৭ই মার্চ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৭ই মার্চের ভাষণের জন্য আমাদের স্বাধীনতা। সেই ভাষণ শোনার জন্য জনতা অপেক্ষা করেন, বঙ্গবন্ধু কি নির্দেশ দিবেন।
বক্তব্যের শেষে তিনি কবি নির্মলেন্দু গুন এর স্বাধীনতা নিয়ে অমর কবিতার শেষ পংক্তিমালা আবৃত্তি করেন:
” শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন৷
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হদৃয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা৷ কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি”।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের রাজনৈতিক নেতা থেকে বিশ্বনেতার আসনে আসীন হয়েছেন
তার মানবিক চিন্তার মাধ্যমে।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।