Sunday , 30 June 2024
শিরোনাম

‘চা শ্রমিকদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নিশ্চিত করবে সরকার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চা বাগানের শ্রমিকরা ভাসমান অবস্থায় থাকবে না। তাদের ভালো রাখার সব ব্যবস্থা নেবে সরকার। তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নিশ্চিত করা হবে। মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে যেখানে আমাদের সামান্য চা উৎপাদন হতো, সেখানে এখন চা উৎপাদন এবং গ্রহণ দুটোই বেড়েছে। এটাকে আরও কীভাবে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এসময় তিনি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, উত্তরাঞ্চলে চায়ের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সেটাকে সম্প্রসারণ করার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া চা বোর্ড, ক্ষুদ্র চাষিদের প্রযুক্তি সহায়তা, প্রণোদনা, সবদিক থেকে সরকার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। পঞ্চগড়ের পাশাপাশি লালমনিরহাটেও চা বোর্ডের স্থায়ী অফিস নির্মাণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, পঞ্চগড়ে আঙ্গিনায়ও চা হচ্ছে, তারা তরকারিও ফলায়, চায়ের গাছও লাগায়। চা আমাদের অর্থকরী ফসল হচ্ছে। যেটা দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিতে সহায়তা করছে। চায়ের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে চা অনেক প্রিয়। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ গেছে, সন্ধ্যার পরে সব চা দোকানে ভিড় করে বসে থাকে। আমাদের নিজেদের চায়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। আমরা যা উৎপাদন করি তা রপ্তানির জন্য খুব বেশি একটা থাকে না। বাংলাদেশের মানুষ খুব বেশি চা খেতে পছন্দ করে।

তিনি বলেন, ৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন বিদ্যুৎ ছিল না। সেই সময় উৎপাদন যেন ব্যাহত না হয়, শুধু চা বাগান নয়, আমাদের শিল্প কলকারখানা যাতে ভালোভাবে চলে, এজন্য জেনারেটর উপর ট্যাক্স তুলে দিয়েছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চা শিল্পের গবেষণার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। চা শ্রমিকরা অনাগ্রসর। তারা ভাসমান অবস্থায় আছে। তাদের আর ভাসমান থাকতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আলাদা ফান্ড আছে, সেখান থেকে তাদের জন্য ফান্ড দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে চা শিল্পে অবদানের জন্য আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় চা পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

সিলেটের মালনিছড়ায় ১৮৫৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয় চা চাষ। সম্ভাবনাময় এই শিল্প বিকশিত হয়েছে দেশের ১৬৮টি বৃহৎ ও আট হাজারের বেশি ক্ষুদ্র চা বাগানের মাধ্যমে। যেসব বাগান থেকে গেল বছর উৎপাদন হয়েছে ১০২.৯২ মিলিয়ন কেজি চা। প্রধান অর্থকরী ফসল ও রপ্তানি পণ্য হিসেবে চায়ের ঐতিহ্য প্রসারে ৪ জুন জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করা হয়।

Check Also

জাতির পিতা সবসময় সকলের কথা মনযোগ দিয়ে শ্রবণ করতেন: ড. কলিমউল্লাহ

২৯ ই জুন, ২০২৪, শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৫৯ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x