২২ ই জুন, ২০২৪, শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৫২ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের স্বনামধন্য শিক্ষক প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. জেবুন্নেসা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস আকলিমা জাহান।
সেমিনারের গেস্ট অব অনার হিসেবে যুক্ত ছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, (HSTTI)
কুমিল্লা এর সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল কাদের।
উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক ও বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য বাবু রণজিৎ মল্লিক।
সেমিনারে আলোচকবৃন্দ হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা মিসেস পারভীন আক্তার ও নাঈমা ফেরদৌস। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেরাজ হোসেন।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু ও শাকিব হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা সত্য ও সুন্দরের সমঝদার ছিলেন
সেমিনারের মুখ্য আলোচক পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি হিসেবে প্রশাসনিক সংস্কারে হাত দিয়েছিলেন। দেশ পরিচালনার জন্য তিনি দক্ষ নিয়ম কানুন তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমলাতন্ত্রের নানা লাল ফিতার দৌরাত্ম্যে আটকে যায়। দেশে তৎকালীন সময়ে পাকিস্তানের সমর্থকরা প্রশাসনে রয়েছিল। পাকিস্তান অনুসারী ছিল আমলা গোষ্ঠী যার ফলে তৎকালীন সময়ে মন্ত্রীদের কে নানার রকম আইনের এবং প্রশাসনের নানা বেড়া জালে আবদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫, এই সময়ে আমলাতান্ত্রিকদের লাল ফিতার দৌরাত্ম বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছিল ।সিভিলিয়ন এবং মিলিটারিদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন – তোমরা জনগণের প্রভু না সেবক ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জানিয়েছিলেন – চট্টগ্রামের সার উৎপাদন করে যাতে বহির্বিশ্বে রপ্তানি করা যায় সেজন্য তৎকালীন সময় ১২০ কোটি টাকায় একটি বাজেট প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তা হতে দেয়নি আমলারা। যার ফলে দেশ একটি সম্ভাবনা থেকে পিছিয়ে পড়ে । ভারতের সাথে নানা রকম আমদানি এবং রপ্তানির পরিপূর্ণতা না হওয়ায় আরো পিছিয়ে পড়ে। উল্লেখ আছে, পদ্মার ইলিশ পঁচে গলে গেলে সেটা মাটি চাপা দেয়া হতো কিন্তু ভারতে রপ্তানি করতে দেওয়া হতো না।
সেমিনারের প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. জেবুন্নেসা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যথাযথভাবেই “পোয়েট অব পলিটিক্স ” বলা হয়।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বরাবরই জ্ঞান চর্চা করে গিয়েছেন।
সেমিনারের বিশেষ অতিথি অধ্যক্ষ মিসেস আকলিমা জাহান বলেন , আকলিমা জাহান বলেন ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আগেই বুঝতে পেরেছিলেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে তরুণদেরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাদের সঠিক জীবন গঠনের পথনির্দেশনা দিতে হবে। তাইতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন – আজকে তরুণেরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ ,যারা ভালো রাজনীতি করে দেশের সেবা করবে। তরুণদেরকে বঙ্গবন্ধু ন্যায়পরায়ণ হতে বলেন এবং যুব সমাজকে নৈতিকভাবে অগ্রসর এর জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন।
সেমিনারের গেস্ট অব অনার সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন বিশ্ব আজ দুভাগে বিভক্ত শোষিত এবং শোষকের আমি শোষিতের পক্ষে।
তিনি আরো বলেন সোনার বাংলা গঠনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে কাজ করে যাব।
সেমিনারে উপস্থিত পারভিন আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে গড়ে উঠতে পারলে আমরা গর্বিত বোধ করব। সে অনুযায়ী আমরা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে কাজ করব।
বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা
নাইমা ফেরদৌস বলেন, ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে শেখ মুজিবুর রহমানকে গণসম্বর্ধনা দেওয়া হয়।
সেমিনারে উপস্থিত আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ২৩ শে জুন উপমহাদেশে অন্যতম পুরাতন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জন্য একটি যোগ্য এবং সুন্দর রাজনৈতিক আদর্শ সংগঠন রেখে গেছেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেরাজ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতায় রয়েছে ইস্পিচুয়াল পাওয়ার । ফলে যার ফলে বাঙালি নির্দ্বিধায় স্বাধীনতার ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু বলেন,
বঙ্গবন্ধু জ্ঞানান্বেষী নেতা ছিলেন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।