স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো অভিযান পরিচালনার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিজেদের পরিচয় দিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে, পরিচয় না দিয়ে কোনো অবস্থাতেই কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।’
রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া বিগত সরকারের আমলে কিছু লাইসেন্স করা অস্ত্রের অপব্যবহার করা হয়েছে। সেগুলোর বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হবে।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, গতকাল শনিবার সারাদেশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া পুলিশের আরও ৫৬৮ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে মোট উদ্ধার হওয়া অস্ত্রসংখ্যা ৩ হাজার ৮৭২।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত লুট হওয়া তিন হাজার ৮৭২টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গুলি উদ্ধার করা হয়েছে দুই লাখ ৮৬ হাজার ২১৬ রাউন্ড। এ ছাড়া ২২ হাজার ২০১টি টিয়ার শেল এবং ২ হাজার ১৩৯টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারাদেশে বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
অনেক থানা থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় উচ্ছৃঙ্খল জনতা। সেসব অস্ত্র উদ্ধার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কোনো ব্যক্তির কাছে এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দেয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।