সাংবাদিকদের ন্যায়ের পক্ষে থাকতে হবে- পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম
মতলব উত্তর প্রতিনিধি: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন সাংবাদিক বান্ধব সরকার। তিনি সবসময় সাংবাদিকদের পক্ষে থাকেন। কারণ, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের সম্পর্ক হচ্ছে অত্যন্ত মধুর। সাংবাদিকদের ন্যায়ের পক্ষে থাকতে হবে। সত্যের সঙ্গে মিথ্যার লড়াইয়ে সত্যের সঙ্গে থাকতে হবে। কারণ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে একটি চক্র দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যে যার মতো মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সাংবাদিকদের দায়িত্ব জাতির সামনে সত্য তথ্য তুলে ধরতে হবে।
১৭ এপ্রিল রবিবার বিকালে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর বাড়ীর আঙ্গীনায় মতলব উত্তর উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এর সাথে উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহবুব আলম লাভলু’র সভাপতিত্বে এবং দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার কামরুজ্জামান হারুনের সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবদেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
এসময় সাংবাদিকদের মধ্যে প্রশ্নকরেন মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি শামসুজ্জামান ডলার, মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক প্রিয় চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক বোরহান উদ্দিন ডালিম, মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক গোলাম নবী খোকন, মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাদশা।
এসময় মতলব-গজারিয়া সেতু কবে নাগাদ দৃশ্যমান হবে, মেঘনা নদীর সীমানায় বালি উত্তোলন, মেঘনাদ ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে অবাধে বাড়িঘর নির্মাণ এবং জলাবদ্ধতা, উপজেলার সাংবাদিকদের করোনাকালীন সুবিধাদি না পাওয়া এবং মফস্বল সাংবাদিকদের গৃহায়ন সুবিধার আওতায় আনা যায় কি না সহ নানা বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে প্রতিমন্ত্রী এসকল প্রশ্নের জবাব দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ইসলামবাদ ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন মুকুল।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন। একটি ঘটনা ঘটলেই সামাজিক যোগাযোগ তাৎক্ষনিকভাবে চলে আসে। কখনো মিথ্যা, কখনো সত্য ঘটনা। সত্যের চেয়ে অপপ্রচারই বেশি হয়। ফলে সবার মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। সঠিক তথ্যের জন্য সাংবাদিকদের দিকে জাতি তাকিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, অতীতে যারা পদ্মাসেতু নিয়ে নানা ধরণের গুজব রটিয়েছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশ ও মানুষের কল্যাণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, সেই একই মহল সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং একে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে গুজব রটনা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা জাতির কল্যাণের জন্য কাজ করবেন। উন্নয়নের পক্ষে থাকবেন। স্বাধীনতার পক্ষে থাকবেন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, সাংবাদিকরা ঝুকি নিয়ে কাজ করেন। রাত-দিন সমানভাবে পরিশ্রম করেন।