ঈদ বাজারে ক্রেতা আকর্ষণে পাঞ্জাবিতে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে ফ্যাশন হাউজটি; তবে এর আগেই তিনবার বদলেছে দাম। এমন ‘প্রতারণার’ অভিযোগে ‘আইরো’ নামের ওই প্রতিষ্ঠান এক লাখ টাকা জরিমানার মুখে পড়েছে।রোববার এক ক্রেতার কাছ থেকে পাওয়া সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত ওই ফ্যাশন হাউজের এমন প্রতারণা উদঘাটন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অভিযানের সময় বেশ কিছু পাঞ্জাবিতে দামের ‘এমন পরিবর্তন’ ধরা পড়ায় আইরো ফ্যাশন হাউজকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর জব্বার মণ্ডল।
এ ধরনের কারসাজির ব্যাপারটি কীভাবে প্রমাণিত হল জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শনিবার সেই প্রতিষ্ঠান থেকে একজন ক্রেতা পাঞ্জাবি কিনেছেন। সেটা বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর তিনি দেখেন পাঞ্জাবির মূল্য লেখা স্টিকারের নিচে আরেকটি স্টিকার- যেখানে দামটা আরেকটু কম। তার নিচে আরেকটি স্টিকার, সেখানে দাম আরও একটু কম।
“সেই ভোক্তা শনিবার রাতেই আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। এরপর রোববার সরাসরি আমরা সেই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে দেখলাম আরও অনেকগুলো পাঞ্জাবিতেও সেই একই কাজ করা হয়েছে।”
অভিযানের পর রোববার আব্দুর জব্বার ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দেন।সেখানে তিনি লেখেন, “৫০ শতাংশ ছাড় ও অভিনব প্রতারণা! পাঞ্জাবির স্টিকারে এমআরপি ২ হাজার ৪৯০ টাকা এবং ৫০ শতাংশ ছাড়, উক্ত স্টিকারের নিচে আরেকটি স্টিকার, সেখানে লেখা ১ হাজার ৭৯০ টাকা এবং এর নিচে আরেকটি স্টিকার, সেখানে লেখা ১ হাজার ১৯০ টাকা! তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হল ঢাকা মহানগরীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের আইরো প্রতিষ্ঠানকে।“এ বিষয়ে আইরো এর মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা শফিউল্লাহ শাওন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের চারটি শোরুম বন্ধ হয়েছে। এই প্রোডাক্টগুলো সেসব শোরুম থেকেই এসেছে। এক্ষেত্রে আমাদের একটা মিস ম্যানেজমেন্ট হয়েছে৷
“কিছু প্রোডাক্টের লেবেলে আগের প্রাইস ট্যাগগুলো না সরিয়েই সেগুলোর উপরে নতুন প্রোডাক্টের প্রাইস ট্যাগ লাগানো হয়েছে। ১ হাজার ৯০ টাকা মূল্যের কারচুপির কাজ করা কোনো পাঞ্জাবি হওয়া সম্ভব না।”
তার দাবি, পাঞ্জাবিতে লাগানো ট্যাগগুলোর নিচের লেবেল মূলত টিশার্ট, শার্ট এসব প্রোডাক্টের ছিল। সেগুলোর উপরেই ডিসকাউন্টে পাঞ্জাবির বারকোডযুক্ত ট্যাগ লাগানো হয়েছিল। আগের ট্যাগ তুলে নতুন ট্যাগ লাগানো হলে এ ভুল বোঝাবুঝিটা হত না, এখানেই আমাদের ভুল ছিল।”