নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের টিস্যু কারখানায় লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, ডেমরা, কাঁচপুর, গজারিয়া, বন্দর কোম্পানিসহ ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৪টি ইউনিট কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডের পর চারপাশে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। ধোঁয়াচ্ছন্ন পরিবেশে কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকায় অবস্থিত মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের টিস্যু কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভাতে যায়। আগুনের ভয়াবহতা দেখে পরে আরও সাতটি ইউনিট সর্বশেষ আরও ২ ইউনিটসহ মোট ১৪ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ভোরে মেঘনা গ্রুপের পেপার ও পলপ তৈরির কারখানাটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে সোনারগাঁও, গজারিয়া, গজারিয়া বিসিক ফায়ার স্টেশন, বন্দর, কাঁচপুর ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের ১৪টি ইউনিট আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সকাল সাড়ে আটটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে এসব বিষয় জানা সম্ভব হবে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
ওই কারখানার এক শ্রমিক জানান, রাতের ডিউটি করতে আসা অনেক শ্রমিক সেখানে আটকা পড়তে পারেন। আগুনের তীব্রতা এতো বেশি যে তাৎক্ষণিক সবাইকে বের করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
ওই শ্রমিক আরও জানান, আগুন এক ভবন থেকে আরেক ভবনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসকে অনেকটা বেগ পোহাতে হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তা রাফি আল ফারুক বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ভোর পাঁচটার দিকে প্রথমে আমাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুনের তীব্রতা ভয়াবহ হওয়ায় পরে আরও নয়টি ইউনিট পাঠানো হয়।
এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রাফি আল ফারুক।