বাংলাদেশে ঐতিহাসিক ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিপ্লবের পরে, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতা কর্মীদের প্রতি এটাই ছিল, তারেক রহমান এর বার্তা।
একজন নেতা থেকে জননেতা এবং তৃনমুল পর্যায়ের গণমানুষের নেতা জনাব তারেক রহমান এর আজ জন্মদিন।
১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর তারেক রহমান জন্মগ্রহন করেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং আপোষহীন নেত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রথম সন্তান তারেক রহমান।
তেজোদীপ্ত ও বুদ্ধীদিপ্ত নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে নিমিষেই পৌছিয়ে যান তারেক রহমান।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলা বি এন পি র সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির বার্তা নিয়ে তিনি ছুটে চলেন বাংলার পথে প্রান্তরে । বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ কে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌছিয়ে দিতে,তৃনমুল নেতাকর্মীদের মাঝে ছুটে যান তিনি।
একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দেবে সচ্ছলতা, দেশে আসবে স্বনির্ভরতা – এই শ্লোগানে বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমিক, বেকার এবং মেহনতী মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যান তিনি।
২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বি এন পির বিশাল বিজয়ে নেপথ্যে সব চেয়ে বড় ভুমিকা রাখেন তারেক রহমান। বাংলাদেশে মেধাভিত্তিক রাজনীতির প্রসার ঘটাতে নানা উদ্যোগ নিয়ে দেশের সকল মহলের কাছে সমাদৃত হন৷
সরকারের রাস্ট্রীয় লাল গালিচা পদবীকে পাশ কাটিয়ে, অন্তরে জাতীয়তাবাদ ধারন করে, বাংলার পথে প্রান্তরে ছুটে চলে মানুষের আস্থা আর ভালবাসা অর্জন করেন।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীশিক্ষা ও উন্নয়ন, মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভুমিকা রাখেন তিনি।
বাংলাদেশের মানুষের এবং নেতাকর্মীদের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে ২০০২ সালে বি এন পি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। এর পর থেকে তিনি সারা বাংলাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে তৃনমুল প্রতিনিধি সভা করে দলকে মাঠ পর্যায়ে শক্তিশালী ভিত দাড় করায়।
২০০৭ সালের ৭ মাচ, তথ্য প্রমান হীন হাস্যকর মামলায়, ততকালীন অনির্বাচিত সরকার। উত্তাল হয়ে সারা দেশ, তারেক রহমান এর মুক্তির শ্লোগানে কেপে উঠে রাজপথ। এর ১৮ মাস পরে মুক্তি দেওয়া হয় জনাব তারেক রহমান কে।
শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারে অসুস্থ তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লন্ডনে যান।
০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে বি এন পি’র ৫ম কাউন্সিলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন তারেক রহমান।
২০১৮ সালে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার এর নাটকীয় বিচারিক আদালতে ভিত্তিহীন মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাদন্ড দেবার পরে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন জনাব তারেক রহমান।
তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নব উদ্যোম পায়, তার Take Back Bangladesh শ্লোগান এর মাধ্যমে শুরু হয় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গন আন্দোলন।
২০২৪ সালের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের শাসন থেকে মুক্ত হয়।।
বাংলাদেশের রাস্ট্রীয় কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে তারেক রহমান ৩১ দফা ঘোষণা করেন যা সকল মহলের মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায়।
দেশের সংস্কার এবং উন্নয়নে তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফাকে বাংলার মানুষের মুক্তি সনদ মনে করা হয়।
সুদূর লন্ডন বসে বাংলাদেশকে নিয়ে এবং বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে ভাবনায়রত, বাংলার মানুষের প্রিয় নেতা দ্রুত আসুক বাংলার মাটিতে এটাই সকলের চাওয়া।
লেখকঃ মো: মামুন রানা, সাবেক ছাত্রদল নেতা এবং এডুকেশন কনসালট্যান্ট।