শেষ বলে এক রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন এনামুল হক বিজয়। টি-টোয়েন্টিতে এমন সেঞ্চুরির পর যেকোন ব্যাটার উদ্দাম উদযাপন করতেন, কিন্তু বিজয় তা করতে পারলেন না। কারণ ব্যক্তিগত মাইলফলক অর্জন হলেও তার দল দুর্বার রাজশাহী যে হেরে গেছে। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রাজশাহীকে ৭ রানে হারিয়ে চার ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেয়েছে খুলনা টাইগার্স।
এই জয়ে ৭ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এখন তালিকার চার নম্বরে খুলনা। এক ম্যাচ বেশি খেলা রাজশাহী সমান পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে পাঁচ নম্বরে।
২১০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে বড় জুটির প্রয়োজন হয়। তবে রাজশাহীর ইনিংসে জুটির অভাব ছিল প্রকট। ভালো শুরু পেলেও জিসান-রাব্বিরা ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। এর ফলে বড় লক্ষ্য তাড়ায় একটা সময় একাকী লড়াই করতে হয় অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়কে।
রাজশাহীর দলনেতা নিজের কাজ ঠিকঠাক করেছেন। ৫৭ বলে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় ঠিক ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন বিজয়। তবু আক্ষেপ সঙ্গী তার, কারণ দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে পারেননি। রাজশাহীর পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে ওপেনার জিসান আলমের ব্যাটে।
বিজয়ের বীরত্বে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২০২ রানে থামে রাজশাহী। খুলনার বেশিরভাগ বোলার খরুচে বোলিং করলেও ব্যতিক্রম ছিলেন পেসার হাসান মাহমুদ। ৪ ওভার বোলিং করে স্রেফ ২৫ রান খরচায় দলীয় সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন তিনি।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় খুলনা। শুরু থেকেই তেড়েফুঁড়ে খেলতে থাকা খুলনা পাওয়ার প্লের মধ্যে ৩ উইকেট খোয়ালেও স্কোরবোর্ডে জমা করে ৬০ রান। দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম (১৪ বলে ২৭) এবং মেহেদী হাসান মিরাজ (১৩ বলে ২৬) ভালো শুরু এনে দেওয়ার পর সে ধারা ধরে রাখেন আফিফ ও বসিস্টো।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭১ বলে ১১৩ রান তোলেন এই দুই ব্যাটার। ৪২ বলে সমান তিনটি করে চার-ছক্কায় ৫৬ রান করেন আফিফ। বসিস্টো ৩৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
শেষদিকে খুলনার সংগ্রহ দুইশ ছাড়াতে বড় ভূমিকা রাখেন অঙ্কন। তার ১২ বলে ৪ ছক্কায় খেলা ৩০ রানের হার না মানা ইনিংসে ২০৯ রান পর্যন্ত পৌঁছায় দলটি।
রাজশাহীর পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট পান তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ।