মোশররফা সোলতানা ডাকনাম লাকি। সে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া মুন্সিরবিল ৯ নাম্বার ওয়ার্ড মৃত সোনা আলীর মেয়ে। সে কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের ২০২৩-২০২৪ সেশনের শিক্ষার্থী।
গত বুধবার ৯ই এপ্রিল মাগরিবের নামাজের পর খরুলিয়া মুন্সিপাড়া গ্রামে হঠাৎ একটি নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। চতুর্পাশে সব কিছু বোঝে উঠার আগেই তড়িঘড়ি করে কবরস্থ করা হয়। রহস্যজনক এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সবকানে। মেয়েটিকে মৃত উদ্ধার করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাসতে থাকে। ভিডিও দেখে যে কেউ বলবে এটি আত্মহত্যা নই হত্যাকান্ড।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, একই এলাকার মোঃ ওসমান বাবু নামে এক যুবকের সাথে এ্যাফিডেভিড মূলে বিবাহ হয় দাবি করেছেন মেয়েটির পরিবার। এটাও দাবি করেন মেয়েটি দুইমাসের অন্তঃসত্ত্বা। একদিকে মেয়েটির বিয়ে কে মেনে নেয়নি ছেলের পরিবার অন্যদিকে ছেলের পরকীয়ার বিষয় জেনে যায় মেয়েটি। সম্পর্কের টানাপোড়ন চলছিল মেয়েটির জীবনে চরমভাবে।
এলাকাবাসী জানান, ঘটনার দিন রাতে বাসায় লাকী একা ছিল। লাকীর মাকে ফোন করে সিউর হন ওসমান বাবু। তখন মা জানান লাকী বাসায় একা আমি তো চট্রগ্রাম বেড়াতে আসছি। বুধবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে লাকীর নিথর দেহ সিলিং ফ্যানে টাঙানো ছিল। ঘরের মেঝেতে কিছুটা রক্তের দাগ দেখেছে উদ্ধারের সময় যারা উপস্থিত ছিল। মোঃ ওসমান বাবুর বাড়ির সাথে লাকীর বাড়ির দূরত্ব কাছে হওয়াই তারাই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী। তাদের জোর দাবি একজন অন্তঃসত্ত্বা সচেতন মেয়ে কখনো আত্মহত্যা করতে পারেনা। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
কিন্তু এদিকে লাকীর পরিবার মামলা করতে সদর মডেল থানার ধারে ধারে ঘুরছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে লাকীর পরিবারে ৫ লাখ টাকা রফাদফার প্রস্তাব নিয়ে যায়।