রক্তদানের মহৎ ব্রত নিয়ে গড়ে ওঠা দেশের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ ব্লাড ডোনার ফাউন্ডেশন (বিবিডিএফ) চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা। গত ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি এশিয়ান টাউন হল সেন্টারে এ আয়োজনে অংশ নেন সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বশীল স্বেচ্ছাসেবী, রক্তদাতা, এবং সমাজকর্মীরা।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সংগঠনের সম্মানিত পরিচালক ও সমাজকর্মী জনাব মোঃ সুকুমার শাকির।
তিনি বলেন
মানবতার কল্যাণে রক্তদানের চেয়ে বড় কোনো দান নেই। বাংলাদেশ ব্লাড ডোনার ফাউন্ডেশন এই মহৎ কাজে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের পাশে আছে। এই মিলন মেলা আমাদের মাঝে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করবে, নতুন কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইত্তিয়াজ আবির, ঈদগাঁও ব্লাড ডোনার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন —
স্বেচ্ছায় রক্তদান শুধু একজন মানুষকেই নয়, পুরো সমাজকে সুস্থ রাখে। এই ধরনের উদ্যোগ দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনান আহমেদ (মুখপাত্র, বিবিডিএফ অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস)।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন রফিকুল ইসলাম রিফাত, সিনিয়র সহ-সভাপতি
ইব্রাহিম সোহেল, সহ-সভাপতি
সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক
মেহেদী হাসান হিরা, সাংগঠনিক সম্পাদক
সজীব মিয়া, সদস্য সচিব
সহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের সেরা স্বেচ্ছাসেবী, রক্তদাতা এবং সংগঠকবৃন্দকে সম্মাননা স্মারক (ক্রেস্ট) প্রদান করা হয়। প্রায় ৩০টির বেশি সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয় সংগঠনের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের হাতে। এ সময় পুরো মিলনায়তন করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানে বিবিডিএফ চট্টগ্রাম বিভাগ ও বিভিন্ন অঞ্চলের স্বেচ্ছাসেবীরা একত্রিত হয়ে সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, রক্তদানের প্রক্রিয়া সহজীকরণ, অ্যাম্বুলেন্স সেবা সম্প্রসারণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। সবার মাঝে রক্তদানের গুরুত্ব এবং মানবসেবার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
শেষপর্বে মিলন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা একত্রে গ্রুপ ফটোসেশন এ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে ছিল স্বল্প পরিসরে সাংস্কৃতিক আয়োজন। এতে স্বেচ্ছাসেবীরা সংগীত ও কবিতার মাধ্যমে মানবসেবার আহ্বান জানান।
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়-
এই ধরনের অনুষ্ঠান আমাদের মধ্যে আত্মিক বন্ধন গড়ে তোলে। একই সঙ্গে নতুন স্বেচ্ছাসেবীদের উৎসাহিত করে এবং রক্তদান বিষয়ে সচেতনতা বাড়ায়। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এমন আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।