ঢাকা , মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা, পাবেন বিশেষ নিরাপত্তা শরীয়তপুরের প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছেন রওনক জাহান দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত মানিকগঞ্জে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি- হাসিনার সঙ্গে রেহানা ও টিউলিপের কারাদণ্ড রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদার রোগ মুক্তি কামনায়দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত শারিরীকভাবে অসুস্থ আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামানায় প্রবাসী নোয়াখালী জেলা বিএনপি সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল এর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইউএনও প্রদিপ্ত রায় দীপনের আকস্মিক পরিদর্শন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চিঠি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাষ্ট্রপতির উদ্বেগ

বুদ্ধের শিক্ষা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

সাংবাদিক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বে বর্তমানে বিরাজমান অস্থিতিশীলতা দূরীকরণ ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহামতি গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উপলক্ষে শনিবার (৪ অক্টোবর) এক বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে উল্লেখ করেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন মানুষের কল্যাণে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। তিনি বলেন, ‘শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গঠনই ছিল তার মূল লক্ষ্য। তার আদর্শ মানবিকতা ও ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল। তার অহিংস বাণী ও জীবপ্রেম আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।’

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের বৌদ্ধ ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, প্রাচীনকালে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চলটি এশিয়ার বৌদ্ধধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল, যার প্রমাণ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের অস্তিত্ব।
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, আবহমানকাল ধরে এ দেশে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে। জাতি হিসেবে দেশের সব অর্জন ও প্রাপ্তিতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অবদান রয়েছে।

নতুন বাংলাদেশের মানুষের প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-রবর্তী নতুন বাংলাদেশের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতা আরও দৃঢ় ও অটুট হবে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সম্মিলিত প্রয়াসে একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ানুগ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র গঠনের অভিযাত্রা মসৃণ ও সাফল্যমণ্ডিত হবে–এটাই আমার প্রত্যাশা।’

প্রধান উপদেষ্টা ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উৎসবের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

সূত্র: বাসস

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০১:২৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
৫৮৬ Time View

বুদ্ধের শিক্ষা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটের সময় : ০১:২৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বে বর্তমানে বিরাজমান অস্থিতিশীলতা দূরীকরণ ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহামতি গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উপলক্ষে শনিবার (৪ অক্টোবর) এক বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে উল্লেখ করেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন মানুষের কল্যাণে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। তিনি বলেন, ‘শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গঠনই ছিল তার মূল লক্ষ্য। তার আদর্শ মানবিকতা ও ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল। তার অহিংস বাণী ও জীবপ্রেম আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।’

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের বৌদ্ধ ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, প্রাচীনকালে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চলটি এশিয়ার বৌদ্ধধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল, যার প্রমাণ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের অস্তিত্ব।
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, আবহমানকাল ধরে এ দেশে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে। জাতি হিসেবে দেশের সব অর্জন ও প্রাপ্তিতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অবদান রয়েছে।

নতুন বাংলাদেশের মানুষের প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-রবর্তী নতুন বাংলাদেশের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতা আরও দৃঢ় ও অটুট হবে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সম্মিলিত প্রয়াসে একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ানুগ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র গঠনের অভিযাত্রা মসৃণ ও সাফল্যমণ্ডিত হবে–এটাই আমার প্রত্যাশা।’

প্রধান উপদেষ্টা ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উৎসবের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

সূত্র: বাসস