জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে দুই সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে শান্তি আক্তার (২৩) নামে দুই সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের চখার চর গ্রামে স্বামী এরশাদের বসতঘর থেকে শান্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শান্তি আক্তার বকশীগঞ্জ উপজেলার বগার চর ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের মোঃ ধুলু মিয়ার মেয়ে। প্রায় আট বছর আগে চখার চর গ্রামের নুদু মিয়ার ছেলে এরশাদের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
শান্তির ছোট ভাই মোঃ সজিব অভিযোগ করে বলেন, “দুই দিন আগে আমার বোন আমাদের বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। এ নিয়ে দুলাভাই ফোনে গালাগালি করে। রাগে অভিমানে বোন স্বামীর বাড়ি ফিরে যায়। আজ ভোরে তাদের বাড়ি থেকে ফোনে জানায়, আমার বোন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমরা এসে দেখি, লাশ খাটে শোয়ানো অবস্থায় রাখা। তখন থেকেই আমাদের সন্দেহ হয়।”
নিহতের বড় ছেলে শান্ত (৫) জানায়, “আমরা রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখি আম্মু সেলিং ফ্যানের সঙ্গে রশিতে ঝুলছে। আমি ডাকাডাকি করলে দাদি আর বড় জেঠা এসে রশি কেটে নামায়।”
এদিকে নিহতের ভাসুর মোঃ আশরাফ আলী বলেন, “আমাদের সঙ্গে শান্তির সম্পর্ক ভালো ছিল। আমার ছোট ভাই দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ কাঁচপুরে গাড়ি চালায়। সংসারের বাজারও আমি করতাম। গতরাতে খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে দেখি সে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। পরে রশি কেটে খাটে শুইয়ে দিই।”
বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের মেম্বার মোঃ ফরিদ মিয়া জানান, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ খাটের ওপর দেখতে পাই। আশপাশ খুঁজে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তবে মোবাইল কললিস্টে দেখা যায়, রাত ১টা ৫৭ মিনিটে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হয়েছে। কী কথা হয়েছিল, তা রেকর্ড না থাকায় জানা যায়নি।”
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”