অপরাধ দমনে কঠোর, সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক তিনি
অপরাধীদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক, কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক — এমনই একজন পুলিশ কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল ইসলাম। মাদক নির্মূলে তাঁর আপসহীন ভূমিকা ও দায়িত্বশীল আচরণের জন্য তিনি এলাকায় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন।
তবে সম্প্রতি একটি কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষসহ স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ।
—
মাদক নির্মূলে আপসহীন ভূমিকা,
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এএসআই রাশেদুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় রেকর্ড পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে এবং অসংখ্য মাদক ব্যবসায়ী আইনের আওতায় এসেছে।
এছাড়া পলাতক আসামি গ্রেপ্তার, ওয়ারেন্ট তামিল, দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিয়ন্ত্রণসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।
ফলে খুব অল্প সময়েই তিনি মাদক চক্র ও অপরাধীদের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন।
ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ,
অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে সংঘবদ্ধ একটি চক্র তাঁর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর কঠোর পদক্ষেপে ক্ষতিগ্রস্ত মাদক ব্যবসায়ী বা অপরাধী চক্রই এই অপপ্রচারের নেপথ্যে রয়েছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,
“রাশেদ সাহেবের মতো সৎ ও সাহসী অফিসার আমরা সব সময় পাশে চাই। গত ৫ আগস্টের মতো উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেও তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে আমাদের নিরাপত্তা দিয়েছেন। এমন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া যায় না।”
সাংবাদিক সমাজ ও নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ,
এই অপপ্রচারের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জের সাংবাদিক সমাজ, সুধীজন ও সচেতন নাগরিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
তাদের বক্তব্য,
“যারা সমাজে ভালো কাজ করেন তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হওয়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু কোনো অপপ্রচারই একজন সৎ কর্মকর্তার মনোবল ভাঙতে পারবে না।”
সততার পাশে জনগণ,
এই ঘটনাকে অনেকেই সততা ও নিষ্ঠার জয়ের প্রতীক হিসেবে দেখছেন।
এলাকাবাসী দাবি করেছে, অপপ্রচারের হোতাদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
তাদের মতে,
“যখন একজন পুলিশ কর্মকর্তা আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তখন সাধারণ মানুষই হয়ে ওঠে তাঁর সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ।”