অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে ‘বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন: এসো মিলি সবে প্রাণের উৎসবে’ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের কনফারেন্স রুমে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
বসুন্ধরা গ্রুপের ডিরেক্টর ও বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়াশা সোবহানের উদ্যোগে অটিস্টিক শিশুদের মেধা বিকাশে ও তাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রায় ১১৫ জন অটিস্টিক শিশু, তাদের মা-বাবা, শিক্ষকসহ উপস্থিত ছিলেন তিন শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি।
অটিস্টিক শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, কবিতা আবৃত্তি, নাচ, গান, ডিসপ্লে প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও অটিস্টিক বাচ্চাদের নিজ হাতে তৈরী হস্তশিল্প, হ্যান্ড প্রিন্টেড শাড়ি, গহনা, ব্যাগ, বিভিন্ন চিত্রকর্ম অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের সাথে জড়িত বিশেষ ব্যক্তিদের বিভিন্ন ধরনের সম্মাননা দেওয়া হয়।
এ সময় অটিস্টিক শিশুদের উদ্দেশে বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়াশা সোবহান বলেন, যতদিন বেঁচে আছি, আমার প্রাণের বাচ্চাদের পাশে থাকতে চাই, ওদের নিয়ে বিশ্ব জয় করতে চাই।
বসুন্ধরা পেপার মিলসের বিক্রিত প্রতিটি পণ্যের একটি নির্দিষ্ট অংশ অটিস্টিক শিশুদের উন্নয়নে ব্যয় করা হয় বলে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের সকলকে ধন্যবাদ জানান ইয়াশা সোবহান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান, বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ইনচার্জ মেজর (অব.) মো. মোহসিনুল করিম, বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন স্কুলের হেড টিচার শায়লা শারমিন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য অটিস্টিক ও অন্য প্রায় সব ধরনের সুবিধাবঞ্চিত প্রতিবন্ধী শিশুর দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রজেক্টে ২০১৭ সালের ১ মার্চ থেকে যাত্রা শুরু করে বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন। দরিদ্র পরিবারের প্রতিবন্ধী শিশুরা এখানে স্বাভাবিক জীবনের শিক্ষা, একাডেমিক ও কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করছে। শারীরিক সুস্থতা, পড়ালেখার পাশাপাশি পাচ্ছে নানা ধরনের ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ। এখানে শিশুদের মানসিক বিকাশ লাভের জন্য রয়েছে সুসজ্জিত শ্রেণিকক্ষ, সেঞ্চুরি ইন্টিগ্রেশন পার্ক ও বড় খেলার মাঠ।