ইমাম হোসেন
অদ্য ২৩শে সেপ্টেম্বর বিকেল ৩.০০ টায় কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, শাহাবাগ, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বেবিটিউব আয়োজিত ‘সেরা অভিভাবক সম্মাননা -২০২৩’
যেখানে ১০জন সেরা অভিভাবককে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
একজন বাবা অথবা মা, তিনি কী সন্তানের প্রতি বিশেষভাবে যত্নশীল? তিনি কি মনে করেন তিনি একজন আদর্শ অভিভাবক তার সন্তানের জন্য?
যদি তাই হয়, তাহলে তার সুষ্ঠু বিকাশে কিভাবে, কোন বিষয়ে সচেতন করছেন তাকে? সেইসব গল্পকথাই ভিডিও অথবা লিখিত জমা দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অভিবাবকরা অংশগ্রহণ করেছেন ‘সেরা অভিভাবক সম্মাননা-২০২৩’ এ। পাঠানো গল্পকথা থেকে দক্ষ বিচারকমণ্ডলী দ্বারা বেছে নেওয়া হয়েছ সেরা ১০ জন অভিভাবক এবং সেরা ১০জনকে দেয়া হয়েছে সেরা অভিভাবক সম্মাননা পুরস্কার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কথাসাহিত্যিক,লেখক ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
আক্কাস মাহমুদ, সিইও কালার প্লাস এবং ডিরেক্টর, এফবিসিসিআই ও রিফাত আমিন, প্রসিডেন্ট, রোটারি ক্লাব অব গুলশান টাইগার্স। সভাপতিত্ব করেছেন,সাইদুল করিম চেয়ারম্যান, বেবিটিউব।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা নিরাপদ ইন্টারনেটের নিরাপদ কন্টেন্ট নিয়ে কথা বলেন। এবং শিশু-কিশোররা কিভাবে সুস্থ্য ভিডিও কন্টেন্ট দেখবে এবং বাবা মায়েরা কিভাবে সচেতন থাকবে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন অতিথিরা।
উল্লেখ্য, বেবিটিউব হচ্ছে শিশু কিশোরদের জন্য একটি নিরাপদ ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ। বেবিটিউব করার কারণ হচ্ছে- ইউটিউবসহ অন্যান্য ভিডিও শেয়ারিং সাইটে এডাল্ট কন্টেন্ট সহজে চলে আসে এবং চাইলে সহজে দেখা যায়। যা শিশু-কিশোরদের জন্য ক্ষতিকর। তাদের সুস্থ মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠতে বাধাগ্রস্থ করে । এবং নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করছে এসব ভিডিও শেয়ারিং সাইট। পজিটিভ কন্টেন্ট থেকে নেগেটিভ কন্টেন্ট বেশি। এগুলো নিয়ে অভিভাবকরাও আছে দুশ্চিন্তায়।
দিনদিন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে শিশু-কিশোররাও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের সংখ্যা বাড়ছে। আর এতে শিশু-কিশোরদের এঢাল্ট কন্টেন্ট দেখার ঝুঁকিও বেশি।
তাই আমার মনেকরি বেবিটিউব হবে শিশু-কিশোরদের নিরাপদ ভিডিও দেখার মাধ্যম এবং অভিভাবকদের চিন্তামুক্ত’র কারণ। ইউটিউবের মতো-ই বেবিটিউবে আছে মনিটাইজেশান সিস্টেম। এবং শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের যেকোনো দেশ বেবিটিউব অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবে। শিশু-কিশোরদের নিরাপদ ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ আমরাই প্রথম শুরু করেছি। ইতেমধ্যে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এবং ইউজারদের মন জয় করেছে। দিনদিন বেবিটিউব অ্যাপের ব্যবহার বাড়ছে এবং কন্টেন্ট আপলোড হচ্ছে।