ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার ডাকসু নির্বাচনে ২ হাজারের বেশি পুলিশ, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত : ডিএমপি কমিশনার নাটোরের বনপাড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রত্যেকটি নেতাকর্মী অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করবে’ আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্রলোভন দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, গ্রেফতার ২ ফ্যাস্টিট শাসনে ধ্বংস হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করবে বিএনপি- মির্জা ফখরুল সারাদেশে ৩৩ হাজার মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা, বসানো যাবে না মদ-গাঁজার আসর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দীঘিনালার দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান অফিস করেন না খাদ্য পরিদর্শক বেতন ভাতা নেন নিয়মিত ডাকসু নির্বাচনে হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না: সেনাবাহিনী

অফিস করেন না খাদ্য পরিদর্শক বেতন ভাতা নেন নিয়মিত

সাংবাদিক

চট্টগ্রামে বসবাস করলেও কর্মস্থল তার চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে। মাসে একদিন এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই সারা মাসের হাজিরা নিশ্চিত করেন তিনি। নিয়মিত অফিসে উপস্থিত না থেকেও মাসের পর মাস সরকারি বেতন-ভাতা তোলার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে হাজীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মুহাম্মদ খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে।

অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর দুই মেয়াদে চার মাস চট্টগ্রাম বন্দরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এরপর থেকে হাজীগঞ্জে তার নিয়মিত উপস্থিতি আর দেখা যায়নি। অভিযোগ রয়েছে, মাসে একবার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে পুরো মাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারজানা মিলির প্রত্যক্ষ সহযোগিতাতেই দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়ম চলছে। হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত থেকেও কীভাবে একদিনে সব স্বাক্ষর দেওয়া হয়, এবং কেন এতদিন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি—এসব প্রশ্ন এলাকায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুহাম্মদ খোরশেদ আলম নিজেকে অসুস্থ দাবি করে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারজানা মিলি সাংবাদিকদের এ বিষয়ে সিরিয়াস না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, খাদ্য পরিদর্শক নিয়মিত অফিসে না এলেও অফিসের কাজ চালু আছে। তাই বিষয়টিকে অতটা সিরিয়াসলি না নিলেও হবে। জীবনে সব কিছু সিরিয়াসলি নিতে হয় না।

অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, হাজীগঞ্জে একজন খাদ্য পরিদর্শক আছেন—এ তথ্যই আমার জানা ছিল না। যোগদানের পর একদিনও তাকে দেখিনি। অফিস না করে নিয়মিত বেতন ভাতা তুলছেন—এ বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাব এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।

সূত্র: দেশ রূপান্তর
ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৫:২২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৫৩২ Time View

অফিস করেন না খাদ্য পরিদর্শক বেতন ভাতা নেন নিয়মিত

আপডেটের সময় : ০৫:২২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামে বসবাস করলেও কর্মস্থল তার চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে। মাসে একদিন এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই সারা মাসের হাজিরা নিশ্চিত করেন তিনি। নিয়মিত অফিসে উপস্থিত না থেকেও মাসের পর মাস সরকারি বেতন-ভাতা তোলার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে হাজীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মুহাম্মদ খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে।

অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর দুই মেয়াদে চার মাস চট্টগ্রাম বন্দরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এরপর থেকে হাজীগঞ্জে তার নিয়মিত উপস্থিতি আর দেখা যায়নি। অভিযোগ রয়েছে, মাসে একবার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে পুরো মাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারজানা মিলির প্রত্যক্ষ সহযোগিতাতেই দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়ম চলছে। হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত থেকেও কীভাবে একদিনে সব স্বাক্ষর দেওয়া হয়, এবং কেন এতদিন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি—এসব প্রশ্ন এলাকায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুহাম্মদ খোরশেদ আলম নিজেকে অসুস্থ দাবি করে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারজানা মিলি সাংবাদিকদের এ বিষয়ে সিরিয়াস না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, খাদ্য পরিদর্শক নিয়মিত অফিসে না এলেও অফিসের কাজ চালু আছে। তাই বিষয়টিকে অতটা সিরিয়াসলি না নিলেও হবে। জীবনে সব কিছু সিরিয়াসলি নিতে হয় না।

অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, হাজীগঞ্জে একজন খাদ্য পরিদর্শক আছেন—এ তথ্যই আমার জানা ছিল না। যোগদানের পর একদিনও তাকে দেখিনি। অফিস না করে নিয়মিত বেতন ভাতা তুলছেন—এ বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাব এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।

সূত্র: দেশ রূপান্তর