শ্রীলঙ্কার সাথে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে হঠাৎই অবসর ভেঙে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ফেরার ঘোষণা দিয়েছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে সে ঘোষণার এক দিন পার না হতেই আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন এই লঙ্কান লেগ স্পিনার।
শ্রীলঙ্কার লেগ স্পিন অলরাউন্ডার আইসিসির আচরণবিধির ২.৮ ধারা ভঙ্গ করেছেন। যে কারণে তাকে ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে এবং তিনটি ডি মেরেটি পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ২৪ মাস বা দুই বছরের মধ্যে আটটি ডি মেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন তিনি। এর আগে পাঁচটি ডি মেরিট পয়েন্ট পাওয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচের ৩৭তম ওভারে আম্পায়ারের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন হাসারাঙ্গা। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি তিনি। ক্যাপ খুলে ছুড়ে মারেন মাটিতে। ওই ঘটনায় ফিল্ড আম্পায়ার তার বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনেন। তখনই হাসারঙ্গা ও লঙ্কান টিম ম্যানেজমেন্ট বুঝে ফেলে ডি মেরিট পয়েন্ট পেতে যাচ্ছেন এই লেগ স্পিনার। যার অর্থ নিষেধাজ্ঞা।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোন ক্রিকেটার ২ বছরের মধ্যে আটটি ডি মেরেট পয়েন্ট পেলে ৭.৬ ধারায় সেটি ৪টি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্ট হিসেবে গণ্য হবে। যার অর্থ ওই ক্রিকেটারকে দুটি টেস্ট বা চারটি ওয়ানডে বা সম সংখ্যক টি-২০ ম্যাচে নিষিদ্ধ হতে হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, যে ফরম্যাট আগে আসবে ওই ফরম্যাটে নিষিদ্ধ হবেন ওই ক্রিকেটার। গত বছর টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেন হাসারাঙ্গা। আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে টি-২০ বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার কোন ওয়ানডে বা টি-২০ ম্যাচ ছিল না। যে কারণে হাসারাঙ্গা টি-২০ বিশ্বকাপের চার ম্যাচে নিষিদ্ধ হতে পারতেন।
কিন্তু বুদ্ধির খেলা করে ওই নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেন তিনি। অবসর ভেঙে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন হাসারাঙ্গা। ইচ্ছে করে এক নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচতে পা দিলেন অন্য নিষেধাজ্ঞার ফাঁদে। ওটাই তার অবসর ভেঙে টেস্টে ফেরার কারণ। এখন আইসিসি তাকে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্টে নিষিদ্ধ করেছে।