ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ বেশ কিছু রাজ্যে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। তাই অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমাতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছে দেশটির সরকার।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানিতে সর্বনিম্ন মূল্যসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০০ ডলার। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নীতি কার্যকর থাকবে।
গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) দেশটির রাজধানীতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এতে বেকায়দায় পড়েছে সাধারণ মানুষ।
দেশটির পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সরবরাহ ঘাটতির কথা জানিয়েছেন।
দুর্গাপূজার আগে সেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ রুপি। কিন্তু তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ রুপিতে, যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ রুপিতে।
জানা গেছে, আবহাওয়াজনিত কারণে খরিফ পেঁয়াজের বপন দেরিতে হয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পেঁয়াজের ফসল। এ ছাড়া তাজা খরিফ পেঁয়াজ আসতেও দেরি হচ্ছে।
অন্যদিকে রবি পেঁয়াজের মজুতও শেষ হয়ে যাচ্ছে। খরিফ পেঁয়াজের দেরি হওয়ার কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ খুবই খারাপ। এ জন্যই পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারেই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।