আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এবং জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে পূর্ব প্রস্তুতিতে মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ নেতা রমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিমের নেতৃত্বে চৌদ্দগ্রামের পক্ষ আওয়ামী লীগের একটি অংশ। প্রতিবাদ মিছিল কে কেন্দ্র করে বিপক্ষ অবস্থানে অবস্থান করেন চৌদ্দগ্রামের সাবেক রেলমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক অনুসারীরা।
তারা বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে মহড়া শুরু করতে থাকে। তমিজ উদ্দিন সেলিম অনুসারীরা অমাবসায় অংশ নিতে যেতে চেষ্টা করলে তাদেরকে রাস্তায় আটকে রেখে গাড়ি ভাঙচুর করে ।
নয়টার দিকে তমিজউদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম কুমিল্লা থেকে গাড়িবহরে চৌদ্দগ্রামের দিকে রওনা দিলে শুধুমাত্র তার গাড়ির দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একটি মোটরসাইকেল বহর তাকে আক্রমণ করেন। তাৎক্ষণিক তমিজ উদ্দিন ভূইয়া সেলিমের গাড়ি মহাসড়কের পাশের কোমারডোগা এলাকায় চলে যাই। এ সময় এমপির অনুসারী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের পিছু নেয়। এমনকি তাদের গাড় ভাঙচুর করে। ঐ সময় তারা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার উদ্দিন রেজা (বীরপ্রতীক) কে কুপিয়ে আহত করে। তাকে নাকি হত্যা করতে তাদের নেতা (বর্তমান সংসদ) বলেছেন বলে বীরপ্রতীকের বক্তব্যে পাওয়া গেছে নির্দেশ।
আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম কে এলাকাবাসী তাদের হেফাজতে নিয়ে যায় । এই বিষয়ে আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার সময় আমার ওপর হামলা চালিয়েছে তারা। তাদের মূল টার্গেট ছিল আমি ।তারা কোনো মতেই আমাকে প্রতিবাদ সমাবেশে পৌঁছাতে দিতে চাইনি। দেখে দেখে আমার গাড়ি বহরে হামলা করেছে এমনকি আমাকে হত্যার জন্য পয়েন্টে পয়েন্টে চিরুনি তল্লাশি চালিয়েছে মুজিব সন্ত্রাস বাহিনী। কিন্তু চৌদ্দগ্রামের জনগণ আজ ঐক্য।
আমরা আমরা এক সপ্তাহ আগে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি, আমাদের প্রতিহত করতে তারা এই পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে । আমি মনে করি, তারা জামায়াতের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এটা করেছে। কিন্তু চৌদ্দগ্রামের জনগণ আজ ঐক্য। আমাদের আওয়ামী লীগের পক্ষের সমাবেশে মুজিব বাহিনীর আক্রমণ আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্নের কাছে তুলে ধরতে চায়। আজ সারা দেশে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের বর্তমান সংসদ মুজিবুল হকের আসল সন্ত্রাসী রূপ দেখতে পেরেছে ।
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, এরই মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ কাজ করছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।