আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ইহকালের শান্তি, পরকালের মাফিরাত এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে শেষ হয়েছে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত।
রাজধানীর অদূরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আজ রোববার বেলা ১১টা ১৭ মিনিটে শুরু হওয়া এই আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন কয়েক লাখ মুসল্লি। মোনাজাত পরিচালনা করছেন দিল্লির মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী।
এর আগে শুক্রবার বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুসলিম জাতির অন্যতম বড় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইজতেমার আয়োজন।
রোববার ফজরের পর বয়ান করেন ভারতের মুফতি মাকসুদ। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আব্দুল্লাহ। বয়ানের পরেই হেদায়াতি বয়ান শেষে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।
দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ময়দানে ছুটে আসেন মুসল্লিরা। রোববার ভোর থেকে মুসল্লিরা দলে দলে আসতে শুরু করেন। অনেকেই মধ্যরাতে রওনা হয়ে ফজর নামাজে অংশ নেন। এ ছাড়া পুরুষ মুসল্লিদের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নেন আখেরি মোনাজাতে।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে টঙ্গী ময়দান ও আশপাশের এলাকায় স্থান না পেয়ে যে যেখানে পেরেছেন বসে পড়েন রাস্তায়, খোলা মাঠে বা বাসার ছাদে কিংবা যানবাহনেই। তবু তাদের কোনো আক্ষেপ নেই। আখেরি মোনাজাতে যে কোনোভাবে অংশ নিতে পেরেই তারা খুশি।
আখেরি মোনাজাত কেন্দ্র করে আজ রোববার ভোর থেকে দলে দলে যোগ দেন হাজার হাজার মানুষ। মধ্যরাত থেকে ইজতেমা ময়দান এলাকায় বাস চলাচল বন্ধ থাকায় হেঁটেই রওনা হন মুসল্লিরা। তবে ঢাকার দক্ষিণাঞ্চল থেকে মেট্রোরেলে করে ইজতেমা এলাকায় এসেছেন অনেকে। এতে অফিস সময়ে হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখা গেছে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে।
মতিঝিল, প্রেসক্লাব, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, মিরপুর ১০-এর মুসল্লিরা মেট্রোরেলে উঠে উত্তরা স্টেশনে আসেন। গতকাল মধ্যরাত থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা, বোর্ডবাজার, কলেজগেট, বিমানবন্দর, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর, কামারপাড়া ও টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকা হয়ে ঢাকা ও গাজীপুরের আশপাশের জেলার মুসল্লিরা দলে দলে ইজতেমা ময়দান এলাকায় এসেছেন।
আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিরা দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য দোয়া করেছেন। বিশ্ব শান্তি ও কল্যাণ চেয়ে মহান আল্লাহর দরবারে আকুতি জানান। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।