শহিদুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক।। কাতার মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ সম্ভাবনাময় এটি পারস্য উপসাগরের ছোট মরুভূমির একটি দেশ। মাথাপিছু আয়ে বর্তমানে পৃথিবীর সবচাইতে ধনী দেশ কাতার। দেশটিতে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন পাঁচ লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি। বর্তমানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় শ্রমবাজার কাতার।
১৮৭৮ সালে কাতারের একীকরণের জাতীয় স্মৃতিচারন। এটি ১৮ ডিসেম্বর প্রতি বছর উদ্যাপন করা হয়। ২১শে জুন ২০০৭ তারিখে তখনকার ক্ষমতাসীন শাসক এবং উত্তরাধিকারী শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এর হুকুমে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
এটি আরব উপদ্বীপের পূর্ব উপকূল থেকে উত্তর দিকে প্রসারিত কাতার উপদ্বীপে অবস্থিত। কাতারের দক্ষিণে সৌদি আরব, এবং এর পশ্চিমে দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইন অবস্থিত। আরব উপদ্বীপের মত কাতারও একটি উত্তপ্ত ও শুষ্ক মরু এলাকা। এখানে ভূ-পৃষ্ঠস্থ কোন জলাশয় নেই এবং প্রাণী ও উদ্ভিদের সংখ্যাও যৎসামান্য। বেশির ভাগ লোক শহরে, বিশেষত রাজধানী দোহা শহরে বাস করে। দেশটিতে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় মজুদ আছে। এই প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে দেশটির অর্থনীতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ১৮শ শতকের শেষভাগ থেকে আল-থানি গোত্রের লোকেরা কাতার অঞ্চলটিকে একটি আমিরাত হিসেবে শাসন করে আসছে। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে দেশটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। ১৯৭১ সালে এটি পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্তও এটি একটি তুলনামূলকভাবে দরিদ্র দেশ ছিল। ঐ সময় দেশটিতে পেট্রোলিয়ামের মজুদ আবিষ্কৃত হয় এবং এগুলি উত্তোলন শুরু হয়। বর্তমানে মাথাপিছু আয়ের হিসেবে কাতার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি। আকাশে আতশবাজি ও বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজ পালিত হচ্ছে কাতারের জাতীয় দিবস।
ভালো পরিবেশে বসবাস করা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও পরিবারকে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী করার আশায় বাংলাদেশীরা মধ্যপ্রাচ্য সহ অন্যান্য দেশে পাড়ি জমায়। এরমধ্যে অন্যতম দেশ হচ্ছে কাতার। উল্লেখ্য যে, ২০২২ বিশ্বকাপের পর এ দেশে চাহিদার তুলনায় বর্তমানে কাজের পরিমাণ অনেক কম। ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৮,০০,০০০ জনের বেশি বাংলাদেশী কাতারে বসবাস করছেন।