ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিএনপি ভেনিস শাখার উদ্যোগে ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো বহুল প্রতীক্ষিত অনুষ্ঠান ‘টেক্সেলেন্স ২.০’ বিদেশে অর্থপাচার রোধে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা জরুরি: প্রধান উপদেষ্টা ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে বিচারকদের বৃক্ষরোপণ ডামুড্যায় বিএনপি’র ৪৭তম  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের ইম্পেরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের তৃতীয় বর্ষপূর্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ, স্পষ্ট করলো ইসি নির্বাচনের আগে ৪ হাজার এএসআই নিয়োগ দেওয়া হবে: আইজিপি ৯ সেপ্টেম্বরেই হবে ডাকসু নির্বাচন: আপিল বিভাগ কাপ্তাইয়ে ভি ডব্লিউ বি কার্ড ধারীদের চাল বিতরণ অনুষ্ঠিত 

আদালত অবমাননায় শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

সাংবাদিক

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত অবমাননার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই মামলায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আইন অনুযায়ী, আদালত অবমাননার এ ধরনের মামলায় কোনো পক্ষের জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেন আদালত।

আদালতের নিযুক্ত অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের জানান, “ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা শাকিল বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানির সময় আদালত অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন, যাতে অভিযুক্তদের পক্ষে যথাযথ আইনগত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়।”

এই মামলার পটভূমিতে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর এক আবেদন দাখিল করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’–সম্পর্কিত একটি মামলার প্রসঙ্গে বক্তব্য দেওয়ার সময় শেখ হাসিনা আদালতকে অবমাননা করেন। তার বক্তব্যের অংশবিশেষ – ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’ – সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে ভাইরাল হয়।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এই বক্তব্যের একটি অডিও ক্লিপ ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করে এর সত্যতা নিশ্চিত করে। এরপরই আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করা হয়।

আদালত ৩০ এপ্রিল অভিযোগ গ্রহণ করে শেখ হাসিনা ও শাকিল বুলবুলকে ১৫ মের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তারা কোনো জবাব দাখিল না করায় ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে স্বশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আজ উভয়কে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করে।

এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলেও নজর কেড়েছে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ১০:০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
৬৪৫ Time View

আদালত অবমাননায় শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

আপডেটের সময় : ১০:০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত অবমাননার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই মামলায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আইন অনুযায়ী, আদালত অবমাননার এ ধরনের মামলায় কোনো পক্ষের জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেন আদালত।

আদালতের নিযুক্ত অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের জানান, “ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা শাকিল বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানির সময় আদালত অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন, যাতে অভিযুক্তদের পক্ষে যথাযথ আইনগত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়।”

এই মামলার পটভূমিতে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর এক আবেদন দাখিল করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’–সম্পর্কিত একটি মামলার প্রসঙ্গে বক্তব্য দেওয়ার সময় শেখ হাসিনা আদালতকে অবমাননা করেন। তার বক্তব্যের অংশবিশেষ – ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’ – সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে ভাইরাল হয়।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এই বক্তব্যের একটি অডিও ক্লিপ ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করে এর সত্যতা নিশ্চিত করে। এরপরই আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করা হয়।

আদালত ৩০ এপ্রিল অভিযোগ গ্রহণ করে শেখ হাসিনা ও শাকিল বুলবুলকে ১৫ মের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তারা কোনো জবাব দাখিল না করায় ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে স্বশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আজ উভয়কে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করে।

এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলেও নজর কেড়েছে।